কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে প্রচন্ড ঝড়ে ৮ জন আহত ও প্রচুর গাছ গাছপালা উপড়ে পরে বসত বাড়ী সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেওলাইন মহিলা দাখিল মাদরাসা সহ অনেক ঘর বাড়ি ভেঙ্গে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শতাধিক জায়গার বেশী বিদ্যুৎ এর তাঁর ছিড়ে গেছে ও খুঁটি ভেঙ্গে গেছে বলে জানা যায়। সোমবার রাতে ঘুর্ণিঝড়ের ফলে বরুড়া উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের ৮ জন আহত হয়েছে এবং ঝলম ইউনিয়ন বেওলাইন মহিলা দাখিল মাদরাসা গাছ পড়ে পাঠদানের সকল ক্লাস রুম ভেঙ্গে যায় এবং প্রচন্ড ঝড়ের কারণে টিন সেট ঘরটি উড়িয়ে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। খোশবাস উত্তর ইউনিয়নে অনেকের টিন সেট ঘরে গাছ পড়ে ভেঙ্গে যায় ও একই ইউনিয়ন নবীপুর গ্রামের সুফিয়া (৩২) নামে এক মহিলা ঘরের ছাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। বরুড়া সরকারী স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। রাতে পৌর এলাকার তলাগ্রাম গ্রামের সাজেদুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবকের গাছ পড়ে মাথা ফেটে যায়। পৌর এলাকার শুশুন্ডা ও পুরানকাদবা গ্রামের গাছ সরাতে গিয়ে (খোকন ৪০) এয়াছিন (২২) বরুড়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন (৩৫) তলাগ্রাম গ্রামের মীর কাশেম (৪০) নামে ৪ জন আহত হয়েছে। শাকপুর গ্রামের জাবেদ ( ৩২) নামে একজন আহত হন। সকল কে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এছাড়া ডকটরস কমিউনিটি হসপিটালে আহত একজন চিকিৎসা নিয়েছেন। ২০ ঘন্টা পর বরুড়া পৌর সদরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ এর কর্মীরা অবিরাম বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে ডিজিএম মোঃ জালাল উদ্দীন জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল হাসান সোহেল জানান ঘুর্ণিঝড়ের কারণে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৮ জন কে তাঁরা চিকিৎসা দিয়েছেন। গুরুতর ১ জন কে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত মো. মেহেদী হাসান জানান দূর্যোগ মোকাবিলায় একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সকল ধরনের খোঁজ খবর দেয়ার জন্য তিনি ক্ষতিগ্রস্ত সকল কে অনুরোধ জানান।