সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করায় এবং তার দায় স্বাীকার করায় নিয়ামতপুর উপজেলার বটতলীহাট দারুল হাদিস দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট শাহজাহান কবিরের অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ডের জন্য স্থায়ীভাবে অপসারনের দাবীতে অভিভাবক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ২৩ অক্টোবর রবিবার বেলা ১১টায় বটতলীহাট দারুল হাদিস দাখিল মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি বটতলী বাজার ঘুরে পুনরায় মাদ্রাসার সামনে এসে শেষ হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বটতলীহাট দারুল হাদিস দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট শাহজাহান কবির তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে বিভিন্ন পর্ণ ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করে। সাথে সাথে তার শালিকা অত্র মাদ্রার শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীনেরও অশ্লীল ছবি পোষ্ট করে। এই সমস্ত ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবী একজন ইমাম ও মাদ্রাসার প্রধান হয়ে কি করে এত নিচ, কুরুচি সম্পূর্ণ ব্যক্তি হতে পারে। তার কাছে তো আমাদের মেয়েরাও নিরাপদ না। কিভাবে তার মাদ্রাসায় লিখাপড়ার জন্য আমাদের মেয়েকে পাঠাবো। তাই অবিলম্বে তার স্থায়ী অপসারণ প্রয়োজন। বটতলীহাট দারুল হাদিস দাখিল মাদ্রাসার সহকারী-সুপারিনটেনডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা শুনেছি এবং ফেসবুকে দেখেছি। এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি জরুরী সভা করেছে। সুপারিনটেনডেন্টকে কারণ দর্শানোর নোটীশ প্রদান করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মাধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। ইতি মধ্যে ৪দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। অত্র মাদ্রাসার সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, ঘটনা সত্যি। তাই জরুরী সভা ডেকে সুপারিনটেনডেন্টকে কারণ দর্শানোর নোটীশ প্রদান করা হয়েছে। সময় দেওয়া হয়েছে সাত দিন। অত্র মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট শাহজাহান আলী বলেন, আমার ফেসবুক থেকে পোষ্ট হয়েছে। আমি তো ফেসবুক চালাই কিš‘ ফেসবুকের তেমন কিচ’ জানি না। কে বা কাহারা ছবিগুলো পোষ্ট করেছে আমি নিজেও বলতে পারবো না। বিষয়টি আমাকে অত্যান্ত লজ্জাজনক অবস্থায় ফেলেছে। একজন শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে কোনক্রমেই এই সমস্ত ছবি বা ভিডিও পোষ্ট করবে না, সে যতই খারাপ হোক। আর আমি তো একটা মাদ্রাসার শিক্ষক। এটা আমার পক্ষে কিভাবে সম্ভব?
নবচেতনা/আতিক