মোঃ আল মামুন খান, বিশেষ প্রতিনিধি

সাভারের আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে একটি সাইনবোর্ড দৃশ্যমান। সেখানে উল্লেখ রয়েছে- বাংলাদেশ মহাসড়ক আইন, ২০১১ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ অনুযায়ী মহাসড়কে ময়লা ফেলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এই সাইনবোর্ডকে ঘিরে মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করা ময়লা ফেলছে একটি চক্র। একইরকম সওজ এর আর একটি সাইনবোর্ড দেখতে পাওয়া যাবে বাইপাইল অভিমূখী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে। নিঃসঙ্গ এই সাইনবোর্ডটির দুইপাশে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ হয়ে আছে। ফলে দুর্গন্ধে এই পথ দিয়ে চলাচলকারী মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ভ্যানে করে এখানে যারা ময়লা ফেলছে তাদের একজন জানান, পলাশবাড়ির জনৈক আউয়াল নামের ব্যক্তির নেতৃত্বে টাকার বিনিময়ে এই এলাকার বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য এখানে এনে ফেলছেন তারা। শুধু সাইনবোর্ড লাগানোতেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্ব শেষ হয় কিনা জানতে মুঠোফোনে কল করা হয় মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ গাউস-উল-হাসান মারুফকে। তিনি এব্যাপারে তাদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আরাফাত সাকলায়েন এর সাথে কথা বলার জন্য বলেন।মুঠোফোনে মোঃ আরাফাত সাকলায়েন তাদের অসহায়ত্বের কথা জানান। তিনি বলেন, মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলা আইনত অপরাধ। এই এলাকায় আমরা পিলার দিয়ে কয়েকবার ঘিরে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলোর তোয়াক্কা না করে আবারও ময়লা ফেলা হচ্ছে। এবিষয়ে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডাইরি পর্যন্ত করেছি। কিন্তু অবস্থা যা তাই রয়ে গেছে। আমরা আবারও পিলার দিয়ে ঘিরে দেবার ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি থানার সাথে সমন্বয় করে এবিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
তবে এবিষয়ে আশুলিয়া থানা এবং সাভার হাইওয়ে থানার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলায় এই পথে প্রতিদিন যাতায়াতকারী হাজারও মানুষ দুর্গন্ধে অতিষ্ট হবার পাশাপাশি নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন এই পথে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।