![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
জামানুর রহিম। পেশায় পল্লী চিকিৎসক। ২০১৪ সালে নিজ পিতা হেদায়েত হোসেন তাদের তিনভাইকে ১৩৮ শতাংশ জমি হেবা রেজিষ্ট্রি করে দেন। এর মধ্যে ৪৬শতাংশ জমি হেবা সূত্রে মালিক হন জামানুর রহিম। কিন্তু একই বছরে হেবাদাতা দলিল রদের মামলা (৭০/১৪) করেন। মামলায় জামানুর রহিম ও তার দুই সহোদরকে বিবাদী করা হয়। একপর্যায়ে তার দুই সহোদর যথাক্রমে সামছুল করিম ও ফারুক মাহমুদ আদালতে স্লোনামা প্রদান করেন। ওই মামলা ২০১৭ সালে আদালত পল্লী চিকিৎসক জামানুর রহিমের পক্ষে একতরফা রায় দেন। একই সঙ্গে রায়ে সামছুল করিম ও ফারুক মাহমুদের স্লোনামা কোন আদেশ ছাড়াই বাতিল করা হয়। এখন সেই জায়গা দখল করে নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে জামানুর রহিমের দুই সহোদর। আদালতে তার পক্ষে রায় পেয়েও ভোগ দখল করতে পারছেননা তিনি। সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন পল্লী চিকিৎসক জামানুর রহিম। বর্তমানে জমিকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। জামানুর রহিম জানান, লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন ১৩০নং গন্ধব্যপুর মৌজার সাবেক ২০৬৪নং খতিয়ান ভুক্ত ২০৫৬, ২০৪৩ ও ২০৩৯ দাগের অন্দরে রায়সূত্রে ৪৬ শতাংশ ও পৈত্রিকসূত্রে সমবন্টন ভূমির মালিক দাবিদার জামানুর রহিম। তিনি ওই ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন এককভাবে মামলা পরিচালনা করেছেন। মামলায় তার পক্ষে রায়ও দিয়েছেন আদালত। এরপরও স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েক বার সালিশ বৈঠকও হয়। কিন্তু তার সহোদররা সালিশ অমান্য করে জোরপূর্বক দার দখলীয় ভূমি দখলের চেষ্টা করেন। এখন ভয়ে নিজের রায় পাওয়া জমিতে যেতে পারছেন না তিনি। উল্টো নানা হুমকী-ধুমকীর শিকার হচ্ছেন এ পল্লী চিকিৎসক। তিনি আরও জানান, মামলায় তার সহোদররা কোন জবাব না দিয়ে বিদেশে বসে থাকেন। তিনি এককভাবে মামলার জবাব দেন এবং খরচ বহন করেন। পরে খরচের টাকা না থাকায় তাহার নিজ জমি ৪৬ হতে ১.৫+১২=১৩.৫০ শতক জমি বিক্রি করে মামলার খরচ চালাতে শুরু করেন। অপর ভাইয়েরা বিদেশ থেকে হঠাৎ করে এসে গোপনে আদালতে মামলা না চালিয়ে স্লোনামা দিয়ে এবং ছোট ভাই আব্দুল কাদেরকে পাওয়ার অব এটর্নি প্রদান করেন। জামানুর রহিম আদালতে একক ভাবে মামলা চালিয়ে ২০১৭ সালে এককভাবে রায় পান। রায় পাওয়ার পর থেকে তাহার ভাইয়েরা রায়ের তোয়াক্কা না করে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন বলে জানান এ পল্লী চিকিৎসক। এব্যাপারে গণমাধ্যম কোন কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত ফারুক মাহমুদ। তার অন্য ভাই প্রবাসে থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।