বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বিমান একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিমানের আর্থিক অবস্থা ভালো। সামনে আরো ভালো অবস্থানে যাবে বলে আশা করছি। বিমানের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক।
বৃহস্পতিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে ঢাকা-গুয়াংজু রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী ফ্লাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট চালুর ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের চীনে যাতায়াতের সমস্যা দূর হবে। বর্তমানে ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি কম থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে এই ফ্রিকোয়েন্সি আরো বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এই রুট বিমানের অন্যতম লাভজনক রুটে পরিণত হবে।
এ সময় বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. যাহিদ হোসেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ২২৯ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের বিজি-৩৬৬ ফ্লাইট চীনের গুয়াংজুর উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। ফ্লাইটটি গুয়াংজুর স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। ফিরতি ফ্লাইট বিজি-৩৬৭ একই দিন গুয়াংজু বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ০৭টা ৪৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ০৯টা ৩০ মিনিটে।
যাত্রীরা বিমানের বিক্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ওয়েবসাইট (www.biman-airlines.com) ও বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকেও টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। যাত্রীদের বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইট (http://bd.china-embassy.gov.cn/lsyw/lsxx/) ও বিমানের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত (https://www.biman-airlines.com/travelAdvisory) হালনাগাদ ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো