রাজধানীর পূর্বাচল উপশহরের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না এক্সিবিশন সেন্টারে চলমান ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দিনদিন বাড়ছে ক্রেতা সমাগম। বস্ত্র, ক্রোকারিজ, কসমেটিকস, ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, চামড়া, জুয়েলারিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে সবাই। তবে এবার ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে লাইটিং ও তুর্কি কার্পেট জাতীয় পণ্যে।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যান্য পণ্যের চেয়ে রঙ-বেরঙের লাইটিং ও তুর্কি কার্পেটের স্টলগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এছাড়া গৃহসজ্জার সরঞ্জামের দিকেও ঝুঁকছেন তরুণী-গৃহিণীরা। প্রতিষ্ঠানগুলোও ছাড়-ডিস্কাউন্টে প্রতিনিয়ত ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া দেশি পণ্যের মধ্যে ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন, টয়লেট্রিজ, ইমিটেশনের জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্প পণ্যে আকর্ষণ বেশি দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে।
ক্রেতারা জানান, ইরানি ও তুর্কি কার্পেটগুলো দেখতে যেমন সুন্দর- দামও নাগালেই। এ কারণে ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে কার্পেট কেনার চেষ্টা করছেন তারা। এছাড়া এই শীতে মেঝের ঠান্ডা কমানোর জন্য কার্পেটের বাড়তি চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
তুর্কি ও ইরানি কার্পেটের স্টলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়
বাণিজ্য মেলায় তুর্কি ও ইরানি কার্পেটের স্টলগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দৃষ্টিনন্দন এসব কার্পেটের দাম আকার ও মানভেদে ১ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে। উল, শেখ, সিল্কি ও পশমি কার্পেট বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার কার্পেট বিক্রি হচ্ছে বেশি।
কাঞ্চন এলাকার মোশফিকা আক্তার বলেন, দেশি কার্পেটের চেয়ে তুর্কি কার্পেটের মান অনেক ভালো। এখানে বিভিন্ন ডিজাইন ও সাইজের কার্পেট পাওয়া যাচ্ছে। দাম কিছুটা বেশি, তবে সৌন্দর্যের কারণে বেশ চাহিদা।
এদিকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে লাইটের স্টলগুলো। হরেক রকম লাইটিং দেখে সব বয়সের মানুষ ঢু মারছে স্টলগুলোতে। কেউ কিনছে, কেউ বা মুগ্ধ হয়ে দেখছে। সন্ধ্যার পর লিটের স্টলে ভিড় হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এ ভিড় থাকছে রাত ৮টার বেশি সময় পর্যন্ত।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার মনির হোসেন সুমন বলেন, বিদেশি কিছু কোম্পানি গৃহসজ্জার জন্য লাইটিং পণ্য নিয়ে বাণিজ্য মেলায় স্টল দিয়েছে। এসব লাইটের ডিজাইন ও মান খুবই ভালো। দেশেই এমন লাইট তৈরি ও বাজারজাত করতে পারলে মানুষের আগ্রহ ও চাহিদা বাড়বে।
তুর্কি কার্পেট স্টলের বিক্রেতা মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, মেলা থেকে সাধ্যের মধ্যেই পছন্দের কার্পেট কিনতে পারছেন ক্রেতারা। তাদের হাতে পছন্দের পণ্য তুলে দিতে পারে আমরা খুশি। আশা করছি মেলার বাকি দিনগুলোতে বিক্রি আরো বাড়বে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো’র (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলায় আসা ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে।