প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে শুক্রবার বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৩৯৮ জনের। এছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ২১ হাজার ৮৯৪ জন।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ১২৩ জন। ওই দিন এ রোগে মারা যান ৯ হাজার ৮৬৯ জন এবং সুস্থ হন ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৭ জন।
অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২৪ হাজার ৭৪৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৪৭১ জন। একই সঙ্গে এ সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা কমেছে ৬৯ হাজার ৭৩ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এদিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৭৫ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৯০ জন।
এছাড়া করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা দেওয়া অন্যান্য দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্য (নতুন রোগী ৩৫ হাজার ৬২৩, মৃত্যু ১৮০), ভারত (নতুন রোগী ২৯ হাজার ৫৮০, মৃত্যু ২৯১), তুরস্ক (নতুন রোগী ২৭ হাজার ১৯৭, মৃত্যু ২২১), রাশিয়া (নতুন রোগী ২১ হাজার ৩৭৯, মৃত্যু ৮২৮) এবং ব্রাজিল (নতুন রোগী ১৯ হাজার ৪৩৮, মৃত্যু ৬৮০)।
এদিকে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৬ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ৪৯৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২০ কোটি ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার ৮২২ জন।
বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫১০। এ রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫ জন এবং গুরুতর অসুস্থ আছেন ৯৫ হাজার ৫১৮ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল এ দেশটিতেই। এরপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি। অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।