বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা উপহার ও বিক্রি করে প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারত। পররাষ্ট্রে টিকা বিতরণ করলেও উৎপাদনকারী এই দেশটির বিপুল সংখ্যক নাগরিক এখনও টিকা পায়নি। এছাড়া যে হারে টিকা দেওয়া হচ্ছে, তাতে নির্ধারিত সময়ে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় ভারত দ্বিতীয়। আগস্টের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল নয়া দিল্লি। তবে গত চার সপ্তাহে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দেশটির মাত্র ৭৫ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে। এভাবে টিকাদান কর্মসূচি চললে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে কয়েক বছর লেগে যাবে।
ভেলরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক গঙ্গাদিপ কং বলেন, ‘সাধারণত ধীর গতিতে টিকা দান কর্মসূচি শুরু হয় এবং পরে কারিগরি ও প্রায়োগিক ইস্যুগুলো চিহ্নিত করে গতি দ্রুত হয়। আমাদের সৌভাগ্য যে ভারতে টিকা সরবরাহ হার সীমিত নয়। তবে সরকার নির্ধারিত সময়সীমায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এখন আমরা যত সংখ্যক মানুষকে টিকা দিচ্ছি তার চার থেকে পাঁচ গুণ মানুষকে প্রতিদিন টিকা দিতে হবে।’
এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনার ৬০ শতাংশ টিকা উৎপাদন করছে ভারত। ইতোমধ্যে ১৭টি দেশে টিকা হয় উপহার হিসেবে নতুবা বিক্রির মাধ্যমে সরবরাহ করেছে ভারত। আরও পাঁচটি দেশ টিকা বিক্রির জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।
ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা আগামী মাসে দেশে টিকা দান কর্মসূচি জোরদারে প্রস্তুত। এর জন্য আরও বেশি বেসরকারি হাসপাতালকে কেন্দ্র হিসেবে নেওয়া হবে।
টিকা দান কর্মসূচির সরকারি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা প্রতিদিন এক কোটি মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম।