সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে র‌্যাবের দায়ের করা দুই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। লালবাগ থানায় দায়ের করা ওই মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ভিন্ন হওয়া এবং অভিযোগের পক্ষে ‘তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায়’ এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ইরফানের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মিসটেক অব ফ্যাক্ট।’ ইরফানের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত করে যা পেয়েছি, তা রিপোর্টে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছি। প্রতিবেদনটি এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। তবে আদালতের জিআরও শাখার একজন উপ পরিদর্শক (এসআই) সোমবার (৪ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে দুই মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি এখনও আদালতে আসেনি। গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। পরদিন এ ঘটনায় ইরফানসহ আরও চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। ইরফানকে দেড় বছর ও তার দেহরক্ষীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।