মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন এক গৃহবধু। শুক্রবার রাতে মানিকগঞ্জ সদর থানায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ ডিসেম্বর রাতে স্বামীর সাথে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয় ভুক্তভোগী নারীর। এরপর ১৪ ডিসেম্বর তিনি ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের কাছে স্বামীর বিচার দাবি করেন। বিচারের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের শিকার নারী জানান, “চেয়ারম্যানকে ভাই, দাদা ও বাপ ডেকেও রক্ষা পান নি তিনি। আব্দুল কাদের ওই নারীকে স্বামীসহ থাকার ব্যবস্থা, গুচ্ছগ্রামে বাড়ি ও কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখান। এতেও কাজ না হলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি ও স্বামীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশে দেয়ার ভয় দেখান।”এদিকে ওই নারী তার স্বামী ভাঙাবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের কাছে বিস্তারিত জানালে ঘটে বিপত্তি। আবুল হোসেন ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যানকে ফোন করে জানান, স্থানীয় মেম্বার ও সাবেক চেয়ারম্যানকে নিয়ে তিনি পরিষদে অভিযোগ দিবেন। এর পরপরই নতুন নাটক শুরু করেন আব্দুল কাদের। নির্যাতিতা ওই নারীকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে ধরে এনে ২৩ ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের বাড়ীতে আটকে রাখে। এ সময় চারজন গ্রাম পুলিশ পালাক্রমে ওই নারীকে পাহাড়া দেন। নির্যাতিতা নারীর স্বামী আবুল খা বলেন, “সামান্য বিষয় নিয়ে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আমি একটি থাপ্পর দিলে আমার স্ত্রী চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে বিচার দেন। এরপর আমার স্ত্রী আর বাড়ী ফিরে আসেনি। পরে জানতে পারি সে চেয়ারম্যানের বাড়ীতে আছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে সে বাড়িতে ফিরে আসে, আর ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। আমি চেয়ারম্যানকে মোবাইল ফোন করে পরের দিন বুধবার পরিষদে আসতে বলি এবং লোকজন নিয়ে আমিও পরিষদে আসব জানাই। এরপর রাত ১২টার দিকে আমার বাসা থেকে আমার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যায়। আর আমি পালিয়ে যাই।” মানিকগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, নির্যাতিতা নারী থানায় মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত করছি এবয় আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।