লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে চলছে অনুমোদহীন প্রায় অর্ধশতাধিক স’মিল কার্যক্রম। এসব স’মিল মালিকরা বছরে লাখ লাখ টাকার মুনাফা ভোগ করলেও বিপরীতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল অর্থের রাজস্ব। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ স’মিল মালিকরাই সরকারি কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। ফলে তারা অনেকে ইচ্ছেমত কিংবা রেঞ্জার অফিসের বাৎসরিক চুক্তিতে মিল চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। জানা যায়, স’মিল (করাত কল) অনুমোদনের জন্য সরকারের পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র, দুই হাজার টাকা নগদ জমা ও ফায়ার সার্ভিস সনদপত্র অত্যাবশ্যক হলেও অনেকে এসব নিয়ম না মানায় অনুমোদনকৃত মিল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, রেঞ্জার অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এক শ্রেণীর স’মিল মালিকরা সরকারি কোন ফি না দিয়েই অতি মুনাফা ভোগ করছেন। রেঞ্জার অফিস সূত্র জানা যায়, স’মিল পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট দফতরের কাগজপত্র ছাড়াও বাৎসরিক পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন ফি, ফায়ার সার্ভিস সনদ নবায়ন ফি, স’মিল নবায়ন ফি সহ বিপুল রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বেশ কিছু স’মিল মালিক। রেঞ্জার অফিসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এবিষয়ে স’মিল মালিকদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ উপজেলায় ৫৭টি স’মিল থাকলেও অনুমোদন রয়েছে মাত্র ১১টির। এদিকে অনুমোদনহীন স’মিলের ছড়াছড়িতে যেমন প্রকৃত ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বছরে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী জানান, রায়পুরে অনেক করাত মিল অনুমোদন ছাড়া চলছে তাদের তালিকা আমার কাছে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।