নানীর করা মামলায় কারাগারে যেতে হয় ছোট্ট দুই শিশুর মা-বাবাকে। এরপর থেকেই অবুঝ দুই শিশুর চোখে ছিল অঝোর কান্না। গণমাধ্যমে প্রচারিত সে কান্না হাজার মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। এরপর নিম্ন আদালতে জামিন না পাওয়া দুই শিশুর মাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ, শিশির মনির ও কুমার দেবুল দে ওই দুই শিশুকে নিয়ে প্রচারিত সংবাদ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। এরপর আদালত শুনানি নিয়ে শিশু দুটির মাকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দেয় এবং তার বাবার জামিনের বিষয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া শিশুদের মায়ের জামিন আদেশটি দ্রুত ই-মেইল ও ফ্যাক্সে পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, `আদালত শর্ত সাপেক্ষে দুই শিশুর মাকে জামিন দিয়েছেন। আমরা বাবার জামিন চাইলে আদালত বলেন, সেটা নিম্ন আদালত দেখবেন।`আরেক আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পর সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যোগাযোগ করি। ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাকে মুক্তি দিতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, শিশু দুটির নানী মোমেনা বেগম পারিবারিক কলহের জেরে নিজের মেয়ে ওয়াসিমা বেগম ও জামাতা তোফায়েলের বিরুদ্ধে চুরি ও মারধরের অভিযোগে রাজধানীর বংশাল থানায় মামলা করেন। সে মামলায় গত শুক্রবার থেকে শিশু দুটির বাবা-মা কারাগারে আছেন। এরপর থেকেই আড়াই বছরের ইয়াছিন ও সাড়ে তিন বছরের টুম্পা অঝোর কান্না শুরু করে। এরপর গতকাল শিশু দুটিকে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির হন প্রতিবেশীরা। কিন্তু আদালত শিশুদের বাবা-মাকে জামিন দেননি। এ বিষয়টি নিয়ে পরে সংবাদ প্রচার করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। সে সংবাদটি বুধবার হাইকোর্টের নজরে আনা হলে হাইকোর্ট শিশুদের মাকে জামিন দেন।