মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই বখাটের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের বিলপুলি গ্রামের মোঃ ইনাম আলীর বখাটে ছেলে মোঃ লিটন মিয়া ১৬ ডিসেম্বর সকালে তার প্রতিবেশি দরগ্রাম ইসলামিয়া সিনিয়র আলেয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর শয়ন কক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ওই ছাত্রীর আত্নচিৎকারে বাড়ির লোকজনসহ আশেপাশের লোকজন ওই বখাটে লিটনকে ধরে আটকিয়ে রাখে। পরে স্থানীয় মাতাব্বররা মিমাংশার কথা বলে লিটনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু সুষ্ঠ বিচার না পেয়ে শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ছাত্রীর মা হেলেনা বেগম জানান, গত বছর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া অবস্থায় ওই ছেলের কারণে আমার মেয়ে ৬ মাস স্কুলে যেতে পারেনি। স্কুলে আসা ও যাওয়ার পথে কুপ্রস্তাব দিত এবং আমার মেয়েকে হুমকি দিয়ে আসত। এ বিষয় নিয়ে একাধিক চ্যানেল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এবিষয় নিয়ে থানা,ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রামে তিন দফায় শালিস করেন মাতাব্বর জামান মেম্বার, চুন্নু ও হামিদ মেম্বার। এতে বখাটে আরো ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। বখাটে সকালে ঘন কূয়াশার সুযোগ নিয়ে আমার মেয়ের ইজ্জত হরণ করতে চেষ্টা করে। এমনকি মেয়ের পরনের জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে। এদিকে বখাটে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোনে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তদন্তে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই বখাটেকে ধরার চেষ্টা চলছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ছাত্রীর মা হেলেনা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন বলেও তিনি জানান।