সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩ জনকে বেড়া ও পাবনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
জানা যায়, উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের সদামরা গ্রামের ঠান্ডু ও আলীম গ্রুপের সাথে মজিবর ও ইউসুফদের বেশকয়েকদিন পূর্বে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে আজ শুক্রবার ভোরে পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে গোসল করার সময় একই গ্রামের ছবির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে বেলালের সাথে হোসেন আলীর ছেলে ইউনুসের সাথে কথা কাটাকাটি হয় বিষয়টি জানাজানি হলে তাৎক্ষণিক ভাবে মজিবর মোল্লা গ্রুপ এবং ঠান্ডু প্রামানিক গ্রুপ লাঠিসোঁটা, ফালা, হাসুয়া, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে মোল্লা গ্রুপের মজিবর মোল্লা (৫৬), নজরুল ইসলাম (২৬) ও ইউসুফ (৩৫), এবং প্রামানিক গ্রুপের জীবন ( ১৯), কবিরুল (২৫), হাফিজ(৩২) সহ ফলাবিদ্ধ ও হাসুয়ার আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরতর আহত মজিবর মোল্লা, নজরুল ইসলাম ও ইউসুফ মোল্লাকে পাবনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে প্রামাণিক গ্রুপের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, পুলিশের উপস্থিতিতে বেলালের ৪টি গরু প্রতিপক্ষের লোকজন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ বিষয়টি দেখলেও কোন প্রতিরোধ করেনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম , ওসি শাহিদ মাহমুদ খান সহ শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শাহজাদপুর সার্কলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি এবং শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান সহ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান জানান, সদামারা গ্রামের পরিস্থিতি এখন সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক নবচেতনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন