বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জাইকা ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশেকে সহযোগিতা করে আসছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ, ভূগর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থা, জিআইএস সাব-স্টেশন, চর বা দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা, স্মার্ট মিটার, ভাসমান সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, সোলার গ্রিড, উচ্চ ক্ষমতার বিতরণ নেটওয়ার্কসহ নানা উপখাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। জাপান এক্ষেত্রে আমাদের আরও সহযোগিতা করতে পারে। বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জেবিক) সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। জেবিকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি গভর্নর হায়াশি নবুমিৎসু। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প ও কার্যক্রমে অর্থায়নে এই সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক চুক্তির আওতায় এলএনজি এবং গ্যাস ভ্যালু চেইন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবিদ্যুৎ ও জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎসহ নানা সহযোগিতা ও অর্থায়নের বিষয় রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেবিকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ। বাজারের আকার ক্রমে বাড়ছে। জাপানি কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে কাজ করার আগ্রহ বাড়ছে। এই সমঝোতা স্মারকটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদার করবে।