মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর থানা পুলিশ এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) যৌন নিপীড়ন মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্তি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আনোয়ার ছাদাতের আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।মাত্র একদিনের মাথায় মামলার তদন্ত কাজ শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার ঘটনা জেলায় এটিই প্রথম। মামলার এজাহার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের মাসুক মিয়া (২১) নামের এক তরুণ স্কুলে যাওয়া-আসার পথে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। সম্প্রতি ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় মাসুক।বিষয়টি স্কুলছাত্রী তার পরিবারকে জানায়। পরে স্কুলছাত্রীর বাবা বখাটে মাসুককে শোধরানোর জন্য বলেন এবং স্থানীয়দের অবগত করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন মাসুক।বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রী চান্দুরা-আখাউড়া সড়কের ফুলতলী মোড়ে দাঁড়িয়ে এক সহপাঠীর সঙ্গে পড়াশোনার বিষয়ে কথা বলছিল। এ সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে বখাটে মাসুক ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এবং কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারেন।
ওই ছাত্রী ও তার সহপাঠীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে মাসুককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরেই স্কুলছাত্রীর বাবা বখাটে মাসুকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমর আইনে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার পরপরই তদন্তকাজ শুরু করেন বিজয়নগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান।দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ করে শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ মামলার জট নিরসনে কাজ শুরু করেছে। হাতে মামলা কম থাকলে অপরাধ কমাতে এবং প্রতিরোধ করতে পুলিশ মনোযোগী হতে পারবে।’