দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে রহস্যজনক অসুখ নিয়ে ২২৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মারা গেছেন কমপক্ষে একজন। রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে সোমবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।রহস্যজনক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এসব রোগীর বমি বমি ভাব থেকে শুরু করে আচমকা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি, কাঁপুনি ও মুখে ফেনা তোলার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।অন্ধ্রপ্রদেশের ইলুরু শহরে সপ্তাহজুড়ে রহস্যজনক রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চালাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা। যে রোগী মারা গেছেন তিনি ইলুরু সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ রোগী নিয়ে ভারত যখন মহামারি করোনার বিস্তার ঠেকানোর লড়াইয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই দেশটিতে নতুন করে রহস্যজনক অসুস্থতা নিয়ে শত শত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এ ছাড়া ভারতের যেসব রাজ্যে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি এর মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ অন্যতম একটি। আট লাখের বেশি শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগী নিয়ে ভারতে রাজ্যের হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রোগী অন্ধ্রপ্রদেশের।সপ্তাহজুড়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষরা কোভিড-১৯ রোগী ছিলেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আল্লা কালী কৃষ্ণা শ্রীনিবাস বলছেন, ‘রহস্যজনক রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এসব মানুষের কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।ইলুরু সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, ‘যেসব মানুষ অসুস্থ হয়েছেন, বিশেষ করে শিশুরা চোখ জ্বালাতন করছে জানানোর পর আচমকা বমি করছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হঠাৎ অজ্ঞানও হয়ে যাচ্ছে।’সরকারি কর্মকর্তারা বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন, রহস্যজনক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় তিনশো রোগীর মধ্যে ইতোমধ্যে ৭০ জন ছাড়া পেয়েছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জহমোহান রেড্ডি বলছেন, অসুস্থতার কারণ অনুসন্ধানে ইলুরুতে বিশেষ মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অসুস্থ এসব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আল্লা কালী কৃষ্ণা শ্রীনিবাস আরও জানিয়েছেন, ‘অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এসব মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে তারা ভাইরাসজনিত কোনো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’রোগীদের সেরিব্রাল-স্পাইনাল ফ্লুইডের নমুনা বিশাখাপত্তম ও বিজয়াওয়াডার পরীক্ষাগারগুলোতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর অসুস্থতার প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে বলে আশা করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।