বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেছে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ। রোববার সকালে প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান, আলোচনা এবং বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক লায়ন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (যুগ্ম সচিব) শাহ আলম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি মোসতাক আহমেদ ভাসানী, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মারুফ সিকদার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের মহাসচিব আতাউর রহমান,বাংলাদেশ কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহামান দেশ, রুর‌্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ)’র চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম, সাপ্তাহিক জনতার দলিল সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া, জাগো শিশু কিশোর ফাউন্ডেশনের সভাপতি জামাল সিকদার, সংগঠনের পাঠাগার সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন খান, নির্বাহী সদস্য মোঃ দুলাল মিয়া, মোঃ মাসুদ আলম, সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, কবি খাদেমুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মানবিক গুণাবলিতে উজ্জীবিত একজন ভাল মানুষ। প্রেস কাউন্সিল থেকে বিদায় পরবর্তী সময়ে তিনি আরো বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে পারবেন। দৈনিক নবচেতনা সম্পাদক মো: সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে প্রেস কাউন্সিলকে পরিচালনার মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। আর একারণে তিনি চেয়ারে না থাকলেও আমাদের হৃদয়ে সফল চেয়ারম্যান হিসেবে আজীবন বহাল থাকবেন। চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর ও সারাদেশে ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। তিনি প্রেস কাউন্সিলকে দেশব্যাপী পরিচিত করেছেন। প্রেস কাউন্সিল দিবস, প্রেস কাউন্সিল পদক প্রদান, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তিনি প্রেস কাউন্সিলকে বিশেষ মর্যদায় উন্নীত করেছেন। বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে। আমি আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ আমাকে আজকে সংবর্ধনা প্রদান করায় এই সংগঠনকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এই সংগঠন দীর্ঘদিন যাবত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে। প্রেস কাউন্সিলে আমার দায়িত্ব পালনকালে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি। আলোচনা শেষে বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। উল্লেখ্য যে, সরকারি চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এর শেষ কর্ম দিবস আগামী ৯ ডিসেম্বর।