পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই বৈঠকে পৌরভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হতে পারে বলে ইসি সচিবালয় সূত্র আভাস মিলছে। সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক হবে।ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, একই দিনে দেশের দুই শতাধিক পৌরসভায় ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে। চলতি নভেম্বরের মাঝামাঝিতে প্রথম ধাপের তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ভোট গ্রহণ এবং দ্বিতীয় ধাপে ডিসেম্বরের শেষে তফসিল দিয়ে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।ইসি সভার এজেন্ডা: ইসির সোমবারের বৈঠকে পাঁচটি এজেন্ডা রাখা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে-পৌরসভা সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি, স্থানীয় সরকার পরিষদগুলোর বিভিন্ন পদে নির্বাচন ও উপনির্বাচন, কমিশনের ইন্টারনাল সাইটে নির্বাচন-সংক্রান্ত পেপার ক্লিপিং প্রকাশবিষয়ক আলোচনা, তৃতীয় ‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২১’ প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর সংশোধন এবং বাংলাকরণ বিল অনুমোদন এবং তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো।স্থানীয় সরকার বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বতর্মানে দেশে পৌরসভার সংখ্যা ৩২৯টি। নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার সংখ্যা ২৯১টি। এগুলোর মধ্যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবে ২৩৫ পৌরসভার; এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে ৫৬ পৌরসভার। সীমানা জটিলতা ও মামলাজনিত কারণে আপাতত নির্বাচন হচ্ছে না ৩৮ পৌরসভায়।পৌরসভা আইন অনুযায়ী পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দুই শতাধিক পৌরসভার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। মার্চের মধ্যে আরও কিছু পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে। সেই হিসাবে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ সব পৌরসভায় ভোট করতে হবে।ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা: এদিকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। এ নির্বাচনে অধিকাংশ পৌরসভায় ইভিএম ব্যবহার করার প্রস্তুতি চলছে। তবে কিছু পৌরসভায় ব্যালট পেপারেও ভোট নেবে ইসি। পৌরসভা ভোটের বিষয়ে এর আগে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আলমগীর বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পৌরসভা নির্বাচন পেছানো হবে না। যথাসময়ে ভোটের ব্যাপারে নীতিগতভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ভোট জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। এর আগে-পরেও হতে পারে। তিনি বলেন, করোনার কারণে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা কম। এইচএসসি পরীক্ষা হবে না। সবদিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে।সর্বশেষ ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩৬ দিন সময় দিয়ে ভোটের তারিখ দেওয়া হয় ৩০ ডিসেম্বর। এক দিনে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বিবেচনায় পরে ভোট