মাগুরায় ছয়মণ ওজনরের ৬০ হাজার ধাতব মুদ্রা জমিয়ে বিপাকে পড়া মহাম্মদপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি খাইরুল ইসলাম খবিরের খুচরা পয়সা (কয়েন) জামা নিতে শুরু করেছে ব্যাংক। মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল ও বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখার নির্দেশনায় পর্যায়ক্রমে জমা নিচ্ছে সোনালী ব্যাংক মহাম্মদপুর শাখা। মাগুরার মহম্মদপুরে প্রায় ৬ মণ ওজনের ৬০ হাজার টাকা মুল্যের ধাতবমুদ্রা (কয়েন) নিয়ে বিপাকে পড়েন খাইরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি। সরকার বাতিল ঘোষনা না করলেও বাজারে কার্যত অচল হয়ে পড়া ধাতব মুদ্রার কয়েন জমিয়ে বিপাকে পড়েন দরিদ্র সবজি বিক্রেতা খবির। গত ১০ বছর ধরে খুচরা সবজি বিক্রিকালে পচিশ পয়শা, পঞ্চাশ পয়শা এক টাকা, দুই টাকার অশংখ্য ধাতব মুদ্রা (কয়েন) জমে যায় তাঁর কাছে, যার ওজন প্রায় ছয় মন। সরকার এ সকল কয়েনের লেনদেন বাতিল ঘোষনা না করলেও ক্রেতাসাধারণ আর নিতে চান না। কার্যত অচল বিপুল পরিমান কয়েন নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েন তিনি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে সবার। এ ব্যাপারে মহাম্মদপুরে সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অন্তরিক সহযোগীতায় বাংলাদেশ ব্যাংক এর খুলনা শাখার নির্দেশনায় বিপুল সংখ্যক এই কয়েন নিতে শুরু করেছে মহাম্মদপুর সোনালী ব্যাংক। প্রথম দিনে ৩ হাজার টাকার কয়েন জমা দেন খায়রুল। প্রতিদিন ১ হাজার টাকা করে বাকি কয়েন জমা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সবজি বিক্রেতা খবিরের বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে। স্থানীয় বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ি তিনি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি খাইরুল ইসলাম খবির বলেন, খুচরা সবজি বিক্রির সময় ক্রাতাদের দেয়া কয়েন গুলি তিনি নিলেও এখন ক্রেতারাই আর তা নিতে চান না। এভাবে জমে জমে পুঁজির তিনের দুই ভাগ কয়েনের মধ্যে চলে যায় তার। লেনদেন না থাকায় অচল পড়ে থাকা কয়েনগুলি নিয়ে কষ্টে ছিলেন্ তিনি। কয়েনগুলো ব্যাংক নেওয়ায় তিনি এখোন দারুণ খুশি। মহম্মদপুর উপজেলা সোনালী ব্যাংক সদর শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মতিন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যবসায়ি খবিরের কয়েন জমা নিচ্ছেন তারা। মহম্দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)রামানন্দ পাল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে বিষয়টি জানার পর সমাধানের জন্য উদ্যোগী হন। উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগা্যােগের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেন তিনি।