লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিভাগীয় বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও পরিদর্শকের লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম জাতীয় জ্বালানি তেল ও বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার। আইনের তোয়াক্কা না করে এসব গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল যত্রতত্র বিক্রির ফলে যে কোনো সময় আগুন লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার রামগঞ্জ, কলাবাগান, সোনাপুর, পদ্মাবাজার, পানপাড়া, বালুয়া চৌমুহনী, হানুবাইশ, আলীপুর, কমর রোড, পানিয়ালা, হোটাটিয়া, শৈরশৈই, টিউরি, নাগমুদ, শাকতলা, রাজারামপুর, আকরতমা, ভাট্টা, কামারহাট, বকুলতলা, বেড়িবাজার, মাঝিরগাঁও, ডাগ্গাতলি, দুধরাজপুর, কচুয়া, শেখপুরা, চৌধুরী ও নোয়াগাঁও বাজারসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ১৮২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে পেট্রোলিয়াম জাতীয় জ্বালানি তেল ও বিভিন্ন কোম্পানির সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা প্রশাসনিক বা বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনাপত্তিপত্র ছাড়াই স্থানীয় মুদি দোকান, চায়ের দোকান, পানের দোকান, রড-সিমেন্টের দোকান, জুতার দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, মুরগির দোকান ও ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন দোকানে দীর্ঘদিন ধরে খোলামেলা ভাবে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন।
জানা গেছে, পেট্রোলিয়াম জাতীয় জ্বালানি তেল ও বোতলজাত গ্যাস বিক্রির জন্য বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স গ্রহণের পাশাপাশি এইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার বিধান রয়েছে। অথচ এসব ব্যবসায়ী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সাধারণ ব্যবসার মতোই চালিয়ে যাচ্ছে জ্বালানি তেল ও সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা। স্থানীয় বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা ও সচেতন মহল জানান, অসাবধানতা বসত এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোনো একটিতে আগুন লাগলে বাজারে পুরো ব্যবসায়িক এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে ব্যবসায়ীদের জীবনের ঝুঁকির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতি সম্মুুখীন হতে হবে। তাই জননিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবসায়ীদের বিধি-বিধান মেনে জ্বালানি তেল ও সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির ব্যবসা করার অনুরোধ ও বিস্ফোরক অধিদপ্তর এবং পরিদর্শকের লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।