পুকুর, বিল বা জলাশয়ে,আঙ্গিনায় বা ছাদে ফোটা শাপলা ফুল দেখে আমরা বরাবরই অভ্যস্ত। আকাশের পানে চোখ মেলে তাকিয়ে থাকা প্রকৃতির এসব ফুল শুধু সৌর্ন্দয্যের আঁধারই নয়, জলাশয়ের সুস্বাস্থ্যেরও একটি প্রতীক। শাপলা ফুল আমাদের জাতীয় ফুল। আমাদের দেশের বাচ্চারা ছোট বেলা থেকে এই ফুলের সম্পর্কে জেনে আসে। কিন্তু তারা কখনই এই ফুল দেখে না। আগে শাপলা সাধারণত গ্রাম দেখা যেত।বর্তমানেও সেই শাপলা ফুল দেখা পাওয়া খুবই কষ্টকর। এই শাপলা বর্তমানে আপনার বাড়ীর চিলেকোঠা বা ছাদে অথবা ঘরের বারান্দায় অথবা বাড়ীর আঙ্গিনায় বা উঠানে চাষ করতে পারেন। তবে কোন ধরনের শাপলা চাষ করবেন সেটা সম্পন্ন আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল হবে। জানা গেছে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৮০ ধরণের শাপলা আছে। তবে আমাদের দেশে সাদারণত সাদা শাপলা চাষ করা হয়। এছাড়াও নীল শাপলা, বেগুনী শাপলা, লাল শাপলা, ইত্যাদি শাপলা আছে। সেই দিক থেকেই বিবেচনা বশত: অথবা শখ করে,বা সৌন্দর্য সভা বর্ধনের জন্য হোক বা সবজি চাষ হোক এমনটাই করেছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলার তালম ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের এক ব্যক্তি মৃত আয়েন উদ্দিনের ছেলে অবসর প্রাপ্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান। তিনি নিজ উদ্যোগে পুকুরে ও পতিত জায়গায় লাল শাপলা চাষ করেছেন। শাপলা মূলত জলজ উদ্ভিদ। তাই গ্রীষ্মের শুরুতে লাগাতে পারলে মধ্য বর্ষায় ফুল পাওয়া যায়। তাই তিনি শাপলার গোড়ার দিকের শালূক সংগ্রহ করে উপযুক্ত টবের মাটিতে পুতে সঠিক পরিমান মাপে পানি দিয়ে চারা তৈরী করে রোপন করেছিলেন। এ বিষয়ে চাষী অবসর প্রাপ্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, আমি চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়ার পর আমার পরিত্যাক্ত জায়গা জমিতে বিভিন্ন গাছের চারা রোপন করেছি। ১২৭ রকমের ফল ও ঔষধী চারা রোপন করেছি যার মধ্যে লাল শাপলাও ঔষধী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এই ফুল দেখতে অনেক দুর থেকে ছেলে মেয়েরা আসে। এই শাপলা থেকে খই তৈরী করা হয়। সবজি হিসেবে খাওয়া যায় এবং পুজার কাজে ব্যবহার করে অর্থ আয় করি।মুলত: আমি শখ করে এই লাল শাপলা রোপন করেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, চাষী মজিবর রহমান যে উদ্যোগ নিয়েছেন এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় কাজ। এই কাজটা যেন উনার টেকসই হয় এজন্য আমাদের কৃষি উপ-সহকারীরা নিয়মিত মনিটরিং করছেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগীতা দিচ্ছেন।