মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়ী গ্রামের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী পঞ্চাশোর্ধ জব্বার আলীকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় মেম্বরসহ ৫ মাতব্বরের সহযোগিতায় ধর্ষণকারী জব্বার আলী ভিকটিমের মাকে চাপ দিয়ে বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা ও ধামাচাপার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ধর্ষক জব্বার আলী ও স্থানীয় মেম্বারকে আটক করে। পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের শিবালয়ের টেপড়ী গ্রামের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে একা পেয়ে পাশের বাড়ির আব্দুল জব্বার আলী ওই শিশুটিকে রান্নাঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় স্থানীয় লোকজন শিশুটির কান্নার শব্দে এগিয়ে এসে জব্বারকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে রাত ১০টার দিকে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে স্থানীয় মেম্বর দেলোয়ার হোসেন ও মাতব্বররা জব্বারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে জোর করে শিশুর মায়ের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে চায়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ভোররাতে জব্বার আলীকে আটক করে। শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ কবির জানান, শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মা বাদী হয়ে শিবালয় থানায় ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষক জব্বার আলীসহ স্থানীয় মেম্বার ও অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ধর্ষক জব্বার আলী ও স্থানীয় মেম্বারকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।