লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীর ফের অস্বাভাবিক জোয়ারে অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে তেলিয়ে গেছে হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। এছাড়াও কাঁচা ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। পানির তোড়ে বিভিন্ন সড়ক ভেঙে গেছে। পানিবন্দি হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। গত কয়েক দিন থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৬ ফুট বেড়ে যায়।
হাজার হাজার পরিবার এখন জোয়ার আতঙ্কে। একইভাবে গত ৫ আগস্টের কয়েক দফা জোয়ারে রামগতি ও কমলনগরে ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত চার দশক ধরে কমলনগরে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে যায়। বেড়িবাঁধ না থাকায় এখন অরক্ষিত উপজেলা টি যে কারণে জোয়ার এলেই প্লাবিত হয়। এদিকে কমলনগরে চর কালকিনি, চর মার্টিন, চর লরেন্স, সাহেবেরহাট, ফলকন ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন পানির নিচে ডুবে যায়। নাছিরগঞ্জ, মাতাব্বরহাট, বাঘারহাটসহ উপকূলীয় হাট-বাজারগুলো পানিতে তলিয়ে আছে। জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা থেকে রামগতি পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় কমলনগর উপজেলা চর কালকিনি, সাহেবেরহাট, চর ফলকন, চর লরেন্স ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা এখন জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে।