কক্সবাজারের টেকনাফে চলতি বছরে অভিযান চালিয়ে ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫’শ ৯৪পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। গ্রেফতার করেছে ১৩২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে। তার মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ১৩ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী।এই সব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল ফয়সল হাসান খান। বিজিবি থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে জানা যায়, চলিত বছরের জানুয়ারি মাসে ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৫’শ ৮৮ পিচ ইয়াবা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে।তারমধ্যে ৩ জন রোহিঙ্গা।বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২ জন। ফেব্রুয়ারী মাসে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬’শ ৭৭ পিচ ইয়াবা সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারমধ্যে ২ জন রোহিঙ্গা। মার্চ মাসে ৮ লাখ ২১ হাজার ৭’শ ৬৯ পিচ ইয়াবাসহ ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারমধ্যে ২ জন রোহিঙ্গা। বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৪ জন।এপ্রিল মাসে ২ লাখ ২ হাজার পিচ ইয়াবা সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ১ জন। মে মাসে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬’শ ২৩ পিচ ইয়াবাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারমধ্যে ১ জন রোহিঙ্গা।বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ১ জন। জুন মাসে ৭৫ হাজার ৬’শ ১৬ পিচ ইয়াবাসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারমধ্যে ১ জন রোহিঙ্গা। জুলাই মাসে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯’শ ৭৬ পিচ ইয়াবাসহ ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারমধ্যে ৬ জন রোহিঙ্গা।বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৫ জন। সর্বশেষ চলমান আগস্ট মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৩’শ ৪৫ পিচ সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এই মাসে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২ জন। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে চলতি বছরের চলমান আগস্ট মাসে। এই মাসেই দুইজন ইয়াবা ব্যবসায়ী বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তবে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে জুলাই মাসে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩১ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের ইয়াবা নির্মূলের কার্যক্রম কিছুটা স্থবির হয়ে পড়লে বড় মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এলাকায় ফিরে।এই সুযোগে তারা পুনরায় তাদের ইয়াবা ব্যবসা সচল করে। বড় মাপের ইয়াবার চালানগুলো মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারকালে সর্বশেষ বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দুই দিনে ৬ লাখ ২০ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। তারমধ্যে ১২ আগস্ট ২ লাখ ৩০ হাজার পিচ এবং ১৫ আগস্ট ৩ লাখ ৯০ হাজার পিচ ইয়াবা। ইয়াবা নির্মূলে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা অভিযানেও থামছে না ইয়াবা ব্যবসা।প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে ইয়াবা উদ্ধারের পরিমাণ।বাড়ছে গ্রেফতারের সংখ্যা।করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবেও থেমে নেই কারবারীদের ইয়াবা ব্যবসা।