সৌমিত্র সুমন, কলাপাড়া
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক ও সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতিসাধন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তারেক মাহমুদ কে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত। বুধবার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত এ আদেশ জারী করেন। একই সাথে বিজ্ঞ আদালত মামলায় গ্রেফতারকৃত দু’আসামীর বয়স ও অসুস্থ্যতা বিবেচনায় তাদের তিন দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করেন। আদালত সূত্র জানায়, বুধবার সাবমেরিন ক্যাবল লাইন কেটে ক্ষতিসাধনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত দু’আসামীর রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য ছিল বিজ্ঞ আদালতে। এতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিপুর থানার এস আই তারেক মাহমুদ (বিপি-৮২১৪১৭৪৫৩২) যথাসময়ে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে অধিক সময় বিলম্বের জন্য লিখিত ভাবে কারন দর্শাতে বলেন। আদালতের জিআরও এএসআই মুনসুর আহমেদ এ আদেশের সত্যতা স্বীকার করেন।এর আগে সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনের নিরাপত্তা কর্মকতার্ হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ১০ আগষ্ট সোমবার বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ১৫ (১) ও (৩) ধারায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপর মামলার এজাহারভুক্ত আসামী কুয়াকাটা পৌর মেয়র ও লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দীন মোল্লা’র ভাই আবুল হোসেন মোল্লা ও ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে মহিপুর থানা পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দু’আসামীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন আদালতে।