বিধাতা চাইলে সবকিছুই সম্ভব। মরদেহ দাফনের কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি পচে-গলে মাটিতে মিশে যায় এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঘটেছে বিরল ঘটনা। সেখানে শ্রমিকরা মাটি কাটতে গিয়ে একটি মরদেহ পেয়েছে। মরদেহটি ২৫ বছর আগে দাফন করা হয়। কিন্তু এত বছরেও মাটির নিচে সেটি অক্ষত রয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহটি এক নজর দেখার জন্য হাজারো মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।
২৪ জুলাই শুক্রবার উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বহল বাড়িয়া এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে মনোহর মিস্ত্রির ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান ডাকাত দলের হামলার একমাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে তাকে বাড়ির পাশের বাগানে দাফন করা হয়। এতো দিন পর বহল বাড়িয়া গ্রামের আতর আলীর ছেলের বাড়ি করার জন্য মাটি কাটতে গিয়ে শ্রমিকদের কোদালের আঘাতে মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে লাশ উদ্ধার করে শরীয়া মোতাবেক পাশের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরদেহ শনাক্ত করে নিহতের মামাতো ভাই সানোয়ার হোসেন বলেন, নুরুজ্জামান একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি কাপড়ের ব্যবসা করতো। ২৫ বছর আগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরার পথে গড়াই নদীর পাড়ে ডাকাত দল মারপিট করে অজ্ঞান করে সবকিছু নিয়ে যায়। পার অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়। এর একমাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তিনি। এত বছর পর তার চাচাতো ভাই বাড়ি করার জন্য মাটি কাটতে গেলে ওই মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাকিব হাসান মরদেহ শনাক্তের কথা স্বীকার করে জানান, মরদেহটি স্থানীয়রা পূনরায় দাফন করেছেন।