দশকের পর দশ ধরে জন্মু ও কাশ্মিরের ওপর ভারত নিজেদের একপক্ষীয় ভাবে আধিপত্যবাদী করে চলেছে। সম্প্রতি এটি আরও বেড়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে কাশ্মিরিদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রিত উপত্যকাকে কারাগারে পরিণত করে রেখেছে মোদির সরকার।
সম্প্রতি কাশ্মির নিয়ে উত্তেজনার বাড়লেও কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান ‘নিরপেক্ষ’ ছিল। কাশ্মির ইস্যুকে বাংলাদেশ ভারতের অভ্যন্তরীণভাবে দেখছে বলে বিভিন্ন সময় শীর্ষ মহলের বক্তব্য থেকে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের এমন অবস্থানের প্রশংসা করেছে ভারতে মোদির সরকার। দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এতথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মির ও সেখানকার পরিস্থিতি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে যে অবস্থান নিয়ে আসছে সেটির প্রশংসা করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।
ভারতের প্রশংসার খবর এমন সময় এলা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ফোনালাপে কাশ্মিরের পরিস্থিতি তুলে ধরার প্রয়াসের একদিন পর।
অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পরীক্ষিত ও ঐতিহাসিক। জম্মু-কাশ্মির ও সেখানকার পরিস্থিতি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে যে অবস্থান নিয়েছে সেজন্য আমরা সাধুবাদ জানাই। এই অবস্থান বাংলাদেশ সব সময় নিয়ে আসছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের এক খবর অনুসারে, বুধবার ফোনালাপে শেখ হাসিনার সঙ্গে উভয় দেশের করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন ইমরান খান। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ এবং কাশ্মির ইস্যুতে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
খবর অনুসারে, শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপে ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য ইমরান খান জম্মু-কাশ্মির বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন’।
যদিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাশ্মির ইস্যু নিয়ে আলোচনার বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়াও বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে আসাম ও ত্রিপুরায় পণ্য যাওয়া বিষয়টিও উঠে আসে। বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লি বাংলাদেশ-ভারতের কানেক্টিভিটি ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের আরেকটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অতিক্রমের কথা জানিয়েছে। কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কার্গো কন্টেইনার আগরতলায় পৌঁছার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় একথা বলেছে।