রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে করোনা টেস্টের প্রায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে যেসব সার্টিফিকেট টেস্ট না করে দিয়েছে সেগুলো আমরা তদন্তে খুঁজেছি বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন।
বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদের মামলা তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের একথা তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদ ৫দিন যাবত পুলিশ রিমান্ড ছিলেন। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শাহেদের মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে। র্যাব শুরু থেকে শাহেদের এই মামলাটি দেখছে। কি পরিমাণ করোনা টেস্টের সার্টিফিকেট প্রদান ও স্যাম্পল কালেকশন করেছে এসব বিষয়ে আমরা তদন্ত করেছি।
মো. আবদুল বাতেন আরও বলেন, রিমান্ডে থাকা অবস্থায় শাহেদকে নিয়ে আমরা অভিযান করে তার দেখানো মতে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছি। এই সংক্রান্তে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। এই মামলা ডিবি তদন্ত করবে।
শাহেদের বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রুজু হয়েছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবি আরও বলেন, আমরা শুনেছি শাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মামলা হয়েছে। এসব মামলা সংশ্লিষ্ট জেলার থানা তদন্ত করবে।
শাহেদ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত কিনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাহেদ মাদক ব্যবসায়ী কিনা এমন তথ্য তদন্তে পাওয়া যায়নি। অস্ত্র ও মাদকের সাথে অন্য কারও সম্পৃক্তত্ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ডা. সাবরিনার মামলা সম্পর্কে আবদুল বাতেন বলেন, সাবরিনার মামলার তদন্তের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই এই মামলার চার্জশীট দিতে পারবো।
উল্লেখ্য, করোনা টেস্টের সার্টিফিকেট জালিয়াতি মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে ১০ দিনের রিমান্ডে দিয়েছিল আদালত।
অন্যদিকে, গ্রেফতারের পর ডা. সাবরিনাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।