কিশোরগঞ্জ শহরের ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়িটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। যেকোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বৃটিশ আমলে নির্মিত এ ভবনটিতে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি টিম বিগত ২০ বছর ধরে পাহারাসহ মডেল থানা পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপিত হয়।
একজন পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক, একজন এ.টি.এস.আই এবং ৯ জন কনস্টেবল এ ফাঁড়িতে অবস্থান করছেন।
প্রায় .১২ শতাংশ জমিতে একটি পুরাত ভবনের তিনটি কক্ষে জনবল অবস্থানের নিয়ম থাকলেও তিন বছর আগে ছাদ ধসে পড়ায় রাতে থাকার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। প্রতিটি কক্ষের উপরের অংশে জলছাদ ফুটো হয়ে যাওয়ায় পলিথিন মাথায় দিয়ে রাতে থাকতে হচ্ছে বলে ফাঁড়ি কর্তৃপক্ষ জানায়।
ভবনের ছাদে ও দেয়ালের উপর বড় বড় গাছ জন্ম নেয়ায় ঝুঁকি আরো বেড়েছে। ভবনটির দু’পাশে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকায় যেকোনো দুর্ঘটনায় সাধারণ লোকজনেরও জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ফাঁড়িটিতে অবস্থানকারীদের জন্য একটি মাত্র ওয়াশরুম, যা ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। পৌরসভার পানি সরবরাহ থাকলেও খাবার পানির অভাব বেশি। বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ একান্ত জরুরি বলে দাবি সবার।