সাদমান ইসলাম মারুফ (১৬) আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটির ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে অভিযুক্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল খানের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় মামলা দায়ের সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিজের অধীনস্ত অফিসারকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ দাশকে শোকজ করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহবুবর রহমানকে ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয় পুনরায় গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদ।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদ, ডবলমুরিং জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) শ্রীমা চাকমা ও নগর পুলিশের সিএসবি শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) নুরুল আফসার ভূইয়া।
সিএমপির সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘটনার দিন তিনি থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত না করে অভিযানে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। তদন্ত কমিটি অভিযুক্তসহ মোট ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এসআই হেলালকে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া নিজের অধীনস্ত অফিসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ দাশকে শোকজ করা হচ্ছে।
মনজুর মোর্শেদ বলেন, ১৬ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনার স্যারের বরাবর জমা দিয়েছি। এসআই হেলাল সিভিল পোশাকে অভিযানে যেতেন, যা আইনের লঙ্ঘন তদন্তে তা প্রমাণ মিলেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও প্রতিবেদনে উঠৈ এসেছে। আর মারুফ কোন ধরনের অপরাধ কাজে জড়িত ছিল না। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।