জায়গা সম্পত্তির বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রবাসী উজ্জল মিয়াগং এর প্ররোচনায় রবিউল্লাহ প্রকাশ রবিকে জোরপুর্বক অপহরণ করে গুম করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ অক্টোবর সদর উপজেলার রাধিকা উত্তর পাড়া কালভার্ট সংলগ্ন এলাকায়। জানা যায়, মোঃ রফিকুল আলম ইকবাল ও প্রবাসী উজ্জল মিয়া মাছিহাতা ইউপির ফুলবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পৈত্রিক জায়গা জমি নিয়ে মনোমানিল্যে ও বিরোধ চলে আসছে। প্রবাসী উজ্জল মিয়ার কু প্ররোচনায় তার সম্পর্কীয় ভাই ভাতিজা লিটন মিয়া ও ফারুক মিয়া বাদীর পৈত্রিক সুত্রে মালিকানাধীন জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করে গাছ পালা কর্তন করে। এই নিয়ে বাদী মোঃ রফিকুল ইকবাল দেওয়ানী মোকদ্দমা আনয়ন করে। কিন্তু তার পরে প্রতিপক্ষের লোকজন আচরনের কোন পরিবর্তন হয়নি। এছাড়া মামলার বাদী ছোট ভাই রবি মিয়া গত ৫/১০/২৪ইং ঘটনার তারিখ দেখিয়ে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এর পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন বাদীর ভাই রবি মিয়া ও তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং নানা ধরনে ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর ভয় দেখাতে থাকে। এদিকে বাদী রফিকুল ইকবালের ছোট ভাই রবি মিয়া ও তার স্ত্রীর মোছাঃ ঝুমা আক্তারের মধ্যে পারিবারিক করলহের এক পর্যায়ে মোকদ্দমার সৃষ্টি হয়। রবি মিয়া জেল খেটে জামিনে মুক্তিপায় এই অবস্থায় মোছাঃ ঝুমা আক্তার লিটন ও ফারুক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে মামলার বাদী ১নং স্বাক্ষী রবিউল্লাহ প্রকাশ রবি মিয়াকে ক্ষতি সাধণ করার সুযোগ খোজতে থাকে এরই ধারাবাহিকতার গত ১২ অক্টোবর ২০২৪ সন্ধ্যা অনুমান ৭টায় রবি মিয়া বাড়ী রাধিকা বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে গজারিয়া টু রাধিকা ফাঁড়ির রাস্তার মাঝামাঝি কালভার্ট সংলগ্ন এলাকায় পৌছলে প্রবাসী উজ্জল মিয়ার কুপরামর্শ জোর পুর্বক আসামীরা মাইক্রোতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে গুম করে ফেলে। বহু খোজা খোজি করেও সন্ধ্যান করতে পারেনি। এমন কি মোছাঃ ঝুমা আক্তারের বাড়ীতে খোজখোজি করতে গেলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এমতবস্থায় বাদীর ধারণা তার ভাই কে পাচার কিংবা খুন করে লাশ গুম করে ফেলতে পারে। এই বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে আদালতে দায়ের পরামর্শ প্রদান করে। আর্জিতে রফিকুল আলম ইকবাল ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে গত ১৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি আমলে নিয়ে সিআইটিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেয় বলে বাদী সুত্রে জানান।