পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউপির গোলখালী চরটি সংরক্ষিত বা রিজার্ভ ফরেস্ট নামে পরিচিত। সংরক্ষিত বনাঞ্চল বলতে মূলত যে বনাঞ্চলে কোন প্রকার মানুষ বা গবাদিপশুর কোন অবাধ বিচরণ বা কোন প্রকার জন সাধারণের প্রবেশ সম্পন্ন নিষেধাজ্ঞা থাকে তবে স্থানীয় বন সংরক্ষক এর অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করা যেতে পারে।গলাচিপা গোলখালীর চরে গত ২০২৩-২০২৪ এ অর্থ বছরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নির্দেশে এবং শশ্লিষ্ট বন সংরক্ষক এর সহয়তায় মহিষ প্রতি মাসে ১০০০ (এক হাজার) টাকা করে প্রায় পাঁচ শতাধিক মহিষ বিচরণ করছে এ সংরক্ষিত বনাঞ্চলে। মহিষের অবাধ বিচরণের কারনে গোলখালীর চরে প্রায় হেক্টর জমিতে সুফল প্রকল্পের বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজরার চারা অংকুরেই খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে বনাঞ্চলের অবৈধভাবে প্রবেশ কৃত গরু মহিষ। তাছাড়া এ চরে জন্মানো গোলপাতা মোটা টাকায় বিক্রি করা হলেও তা জমা হচ্ছে না কোন সরকারি কোষাগারে অপরদিকে এ চরকে গিড়ে চারপাশে অসংখ্য জেলেরা অবাধে নানান প্রকার অবৈধ বেহনতি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা এবং চরের ভিতরে ছোট ছোট বেড় বা ডোবায় বনের গাছ কর্তন করে কৃত্রিম বাঁধ সৃষ্টি করে মাছ ধরে আসছেন স্থানীয় কিছু জেলেরা। গোলখালী চর ঘুরে দেখা যায় বনের ভিতর গরু ও মহিষের খর এবং মাছ শিকারে চরের ভিতর কৃত্রিম বাঁধ সৃষ্টি করে মাছ শিকার করাহচ্ছে। সার্বিক বিষয় উক্ত চরের বিট কাম রেইন্জ অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনর কাছে জানতে চাওয়া হয় কিভাবে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গরু মহিষ বিচরন ও গোলপাতা বিক্রয় করা হয়, যে খানে উক্ত চরে প্রবেশাধিকারে বাঁধা নিষেধ থাকার পরও কিভাবে এত সব কর্মকান্ড হচ্ছে। রেইন্জ কর্মকর্তা বলেন,উক্ত চরে কোন প্রকার গরু মহিষ বিচরন করা হয় না তবে আমার আগের রেইন্জ মোঃ মনিরুজ্জামানের সময় এগুলো করা হয়েছিল এখন সব বন্ধ আছে। তবে মাঝে মধ্যে কিছু লোক চুরি করে বনে প্রবেশ করে থাকে বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।