চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে খালবিল, নদীনালা, ডোবা নর্দমায় ব্যাপকভাবে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বিশেষ করে বিগত বছর গুলোর তুলনায় এ বছর চাষীরা আগাম বোরো ধানের চাষ করায় ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। চাষীরা বলছেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুড়িয়ে যাবে। অনেক বোরো ধান চাষীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, উপজেলার সকল ইউনিয়নে একইভাবে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরও জানান, ধানের চারা রোপনের পর থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তারা পতিত জমি বিশেষ করে খালবিল, নদী-নালা, ডোবা নর্দমায় যেখানেই চারা রোপন করেছেন সেখানেই ধানের চাষ আশানুরুপ হয়েছে। ফলে এবছর শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কায়সার মিশু জানান, চলতি বছর পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার বোরো চাষীকে কৃষি প্রনোদনা হিসেবে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড ধানের বীজ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন এবারে ১১ হাজার ৮ শ ৯ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রায় ৫৩ হাজার মেঃ টন ধান ঘরে তোলা সম্ভব । মহদীপুর ইইনিয়নের ধান চাষী তারা মিয়া শফিকুল ইসলাম, নুরুলইসলাম , আনারুল হক সাংবাদিকদের জানান, বিগত বছরে যে সকল জমি পতিত ছিল এবছর সে সব জমিতেও বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ফলে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।