গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে এক গার্মেন্টস শ্রমিককে গ্যারেজে আটকে মারধর ও ঘরের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ৩৪নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেতা পরিচয় দানকারী খন্দকার মর্তুজী মামুন হিজবুলের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার (১৯এপ্রিল) গাজীপুর মহানগরীর ৩৪নং ওয়ার্ডের গাছা থানার হারিকেন রোডের শরিফপুরে এ ঘটনা ঘটে। ভূক্তভূগী শেরপুর জেলার ঝিনাইগাথি থানার বন্দবাটপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শান্ত জীবন। এ ঘটনায় মহানগরীর গাছা থানায় কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভূগী শান্ত জীবন। অভিযুক্তরা হলো শরীফপুর এলাকার মুস্তাফিজুর রহমানের ছেলে খন্দকার মর্তুজী মামুন হিজবুল (৩৫) ও একই এলাকার কাজল (৩০) মিনহাজ (২৮) এছারা আরও ৮/১০জন জরিত বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। অভিযোগে জীবন দাবী করে বলেন পরিবার নিয়ে গাজীপুরের গাছা থানার শরিফপুরে অস্থায়ী ভাড়া বাসায় বসবাস করি। তিনি ওই এলাকার একটি পোষাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। জীবন বলেন পোষাকশ্রমিক হিসেবে আমার শ্যালেক মো: সোহেল (২৪) একটি কারখানায় কাজ করেন। শ্যালক সোহেল গত শুক্রবার (১৯এপ্রিল) আমার অজান্তে অজ্ঞাতনামা এক মহিলাকে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে গিয়ে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে একই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭.০০ ঘটিকার সময় হিফজুল তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন আমার বর্তমান ঠিকানার বাসায় এসে আমার শ্যালকের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি আমার শ্যালকের ঘটনার বিষয়ে কোন কিছু জানি না বলে জানালে অভিযুক্তরা আমাকে জোর পূর্বক ধরিয়া সবুজের গ্যারেজের ভিতরে নিয়ে মারপিট করে। জীবন বলেন এসময় আমার নিকট মোট ৪০,০০০/-হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে হিজবুল। আমি অভিযুক্তদের দাবীকৃত টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে অভিযুক্ত হিফজুল তার সহযোগীদের পাঠিয়ে আমার বর্তমান ঠিকানার বাসায় গিয়ে আমার ঘরে থাকা একটি ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট এলইডি টিভি, যার মূল্য-২১.০০০/-টাকা এবং দুইটি সাউন্ড বক্স, যার মূল্য-৪৫০০০/-টাকা এবং ভিভো এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, যার মূল্য-২২০০০/-টাকা জোর পূর্বক নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ১নং অভিযুক্ত আমার বর্তমান ঠিকানার বাসায় গিয়ে আমার বসবাসরত রুমে তালাবদ্ধ করে আমাদেরকে এক কাপড়ে বাসা হতে বের করে দেয়। ওই সময় হিজবুল আমাকে এই বলে হুমকি দেয় যে, তার দাবীকৃত ৪০,০০০/-হাজার টাকা না দিলে আমার ঘরে থাকা অন্যান্য সকল মালামাল বিক্রয় করে দিবে, প্রয়োজনে আমাকে হাত ও পা কেঁটে দিবে বলে চলে যায়। বর্তমানে আমি অভিযুক্তদের ভয়ে চরম হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদিকে জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা সহ অভিযুক্ত হিজবুল এর বিরুদ্ধে পূর্বের একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। মুঠোফোনে এসব বিষয় মিথ্যা দাবী করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন অভিযুক্ত হিজবুল, এ বিষয়ে গাছা থানা পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) কায়সার প্রথমে অভিযোগের কথা অস্বিকার করেন। পরে জানান অভিযোগ পেয়ে গত মঙ্গলবার (২৩এপ্রিল) তদন্তে গীয়ে কাওকে পাননি, তিনি বলেন অভিযুক্তদের ঠিকানা ও খোঁজখবর পেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।