ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক ব্যবসা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে মোঃ মোরসালিন মিয়া(৩২) নামে এক যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার (২৫ফেব্রুয়ারি) উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোরসালিন শিবনগর গ্রামের নূর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ শিবনগর গ্রামের নূর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মোরসালিন এবং একই গ্রামে মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ মাদক ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু গত কিছুদিন পূর্বে মাদক ব্যবসা নিয়ে আব্দুল্লাহ ও মোরসালিনের মধ্যে বেশ বাকবিতণ্ডা হয়। পরে গত শনিবার (২৪ফেব্রুয়ারি) রাতে দুই ব্যবসায়ীর বিরোধ মিটানোর কথা বলে মোরসালিনকে দাওয়াত করে আব্দুল্লাহ এর বাড়িতে নেয়। এবং রাতের কোন এক সময়ে মোরসালিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আব্দুল্লাহ। এমনকি মোরসালিনের লাশ আত্মগোপনের লক্ষে বস্তাবন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা টের পাবার ভয়ে সময় সুযোগ মিলাতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার। অন্যদিকে রাত থেকে সকাল পেরিয়ে দুপুর ঘনিয়ে গেলেও, মোরসালিনের বাড়ি ফেরা হয়নি কেনো সেজন্য অনেক খোজাখুজি করে অবশেষে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দাওয়াতের কথা জেনে যায় মোরসালিনের পরিবার। পরে আবদুল্লাহর বাড়ীতে মোরসালিনের বিষয়ে জানতে আসে মোরসালিনের পরিবারের লোকজন। এসে আব্দুল্লাহর ঘর তালাবদ্ধ দেখে জানালা দিয়ে উকি মেরে ঘরের মেঝেতে মোরসালিনের লাশ দেখতে পেয়ে বেলা ৩টার দিকে, পুলিশকে সংবাদ দেয় তার পরিবারের লোকজন। জানতে চাইলে ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার রফিকুল ইসলাম (সবুজ) বলেন, ওই গ্রামে রোববার দুপুরে মৃত বাড়িতে আমার একটি দাওয়াত ছিল। ওই সময় আব্দুল্লাহর বসতঘরের মেঝেতে একটি লাশ রয়েছে বলে আনাগোনা শুনতে পায়। তবে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে জরুরী মিটিং থাকায় আমি চলে যায়। পরে পুলিশ ফোন দিলে বিষয়টিতে আমি নিশ্চিত হয়। তবে গোপন সংবাদ দাতা পুলিশি হয়রানি হবে বলে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চেয়েও বলেননি ওয়ার্ড মেম্বার রফিকুল ইসলাম সবুজ। আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) নূরে আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে এবং সেখানে একটি বস্তায় মোরসালিনের মরদেহ দেখতে পায়। পরে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।