বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় থাকতে বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি ও বানোয়াট মামলা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করছে। পৃথিবীর আর কোথাও এমন গায়েবি মামলার নজির নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি নয়, যাদের সঙ্গে জনগণ নেই তারাই সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড শুনানিকালে আজ শুক্রবার আদালতের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে ডিবি পুলিশ দুজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি নিয়ে দুজনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর ও রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ঢাকা মহানগর হাকিম জাকী আল ফারাবী।
এ মামলায় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমীর খসরুকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। আজ বিকেল ৩টার দিকে তাকে ও জহির উদ্দিন স্বপনকে আদালতে আনা হয়। কিছু সময় তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখার পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এজলাসে আনা হয়। পৌনে চারটার দিকে শুনানি শুরু হয়।
আসামিদের পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী মহসিন মিয়া ও জয়নাল আবেদীন মেজবা। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা ও রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফোরকান উদ্দিন ও ফিরোজুর রহমান মন্টু।
শুনানির এক পর্যায়ে অনুমতি নিয়ে আদালতের উদ্দেশ্যে আমীর খসরু বলেন, ‘মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। এ জন্যই বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি ও বানোয়াট মামলা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে আছে। একটা সমাবেশ ডাকলে লাখ লাখ মানুষ আসে। সাইকেলে , নদী সাঁতরে, সরকারের হামলা, মামলা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা বিএনপির সমাবেশে আসে। বিএনপির তো সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহিংসতা করার দরকার নেই।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এটিই প্রথম বানোয়াট মামলা নয়, এ রকম শত শত হাজার হাজার গায়েবি ও বানোয়াট মামলা হচ্ছে। বাংলাদেশের ডিকশনারিতে ( অভিধান) এখন গায়েবি মামলা নামে নতুন শব্দ যুক্ত হয়েছে। বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা হয়েছে। পৃথিবীর আর কোথাও এমন গায়েবি মামলার নজির নেই।’
খসরু বলেন, ‘সরকার সকল রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। এসব নিয়ে সরকারের কোন মাথাব্যাথা নেই। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে।’