ঋণ দিতে না চাওয়ায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়‘পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র’ নামের এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাঠ সংগঠককে মারধর করেছেন ঋণগ্রহীতার স্বামী লিটন মোল্যা। মঙ্গলবার সকালে আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত উজ্জল কুমার দাশ গুপ্তকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ভূক্তভোগী উজ্জল বেজিডাঙ্গা গ্রামের লিটন মোল্যার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সদর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামে মঙ্গলবার সকালে কিস্তির টাকা সংগ্রহে গেলে ঋণ গ্রহীতা নাছিমা বেগমের স্বামী লিটন মোল্যা নতুন করে তিন লাখ টাকা ঋণ চাইলে মাঠ সংগঠক উজ্জল কুমার পরামর্শ দেন আপনার স্ত্রীর আগের ঋণের বকেয়া পরিশোধ করেন,এরপর নতুন ঋণ দেওয়া হবে। এ কথায় নাছিমার স্বামী লিটন মোল্যা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, লোহার রড নিয়ে হামলা করে আহত করে। তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারী জীবন নাশের হুমকি দিয়ে উজ্জলের কাছে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে প্রায় ৩৪ হাজার ছিনিয়ে নিয়ে নেয়। অসুস্থ্য অবস্থায় উজ্জল মোটরসাইকেল চালিয়ে রওনা দিলে হামলাকারী তাকে গতিরোধ করে মোটরসাইকেল আটক করে রেখে দেন। মারধরের কথা স্বীকার করে লিটন মোল্যা বলেন, মাঠকর্মী উজ্জল নতুন করে আমাকে দুই লাখ টাকা ঋণ দিবে বলে আমি পূর্বের ঋণের বকেয়া ২৬ হাজার টাকা অফিসে গিয়ে পরিশোধ করেছি। তাদের অফিস থেকে আমাদের বইতে কোনো স্বাক্ষর করেনি। মঙ্গলবার সকালে আমাদের গ্রামে কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে আসলে আমি তাকে নতুন ঋণের ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাকে জানিয়েছে নতুন করে কোনো ঋণ দেওয়া হবে না। এ জন্য তাকে আমি মারধর করেছি। এনজিও কর্মী উজ্জল কুমার দাস গুপ্ত বলেন, ঋণ গ্রহিতা তার কোনো বকেয়া পরিশোধ করেনি। যদি টাকা নেওয়া হতো তাহলে তো তার বইয়ে স্বাক্ষর করা হতো। সে আমাদের নামে মিথ্যা কথা বলছে। প্রয়োজনে আমাদের অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে সত্যতা পাওয়া যাবে। ওসি মো.আবু তাহের বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত অফিসারকে সরেজমিনে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।