
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চুয়াডাঙ্গার অন্তত অর্ধশত অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব চুয়াডাঙ্গা ডুসাকের আয়োজনে’ এর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির আরসি মজুমদার মিলনায়তনে এ বৃত্তি প্রদান প্রদান করা হয়। ডুসাকের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডুসাকের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুল, ডুসাকের উপদেষ্টা মোহা. আবদুল মান্নান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলপি কুমার আগরওযালা, লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: জাফর হোসেন, ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার আকরাম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিথুন সাহাসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এবং চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ডুসাকের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ইকবাল হৃদয়ের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ডুসাকের সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, যেসকল মেধাবী শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, তাদের জন্য যে উদ্যোগটি ডুসাক নিয়েছে, সেটি তাদের পড়াশোনার গতিকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি আরও বলেন, অনেক শিক্ষার্থীই আছে যারা দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে। তাদের মধ্যে অনেকেই দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসে। কারও কারও বাবা হয়তো কৃষিকাজ করেন কিংবা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন। তাদের পক্ষে সন্তানের পড়াশোনার ব্যয়ভার বহন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ঠিক তখন এরকম কিছু হৃদয়বান মানুষ ও সংগঠন যদি এগিয়ে আসে তবে তারাও তাদের পড়াশোনাটা ঠিকভাবে চালিয়ে নিতে পারে ও নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে। ডুসাকের এ উদ্যোগ অন্যান্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে আবারও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষাবৃত্তির টাকা তুলে দেন। প্রতি বছর ডুসাক থেকে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চুয়াডাঙ্গার অন্তত ৪০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারে না ও নিজ বিভাগে ভালো ফল করতে পারে না। তাদের জন্যই ডুসাকের এ উদ্যোগ।