বাগেরহাটে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৪৫৯ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে।বিশ্বের যে ৮ থেকে ১০ দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। যক্ষ্মায় প্রতি ১২ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। সে হিসাবে দিনে মৃত্যু হচ্ছে ১০০ জনের। অথচ যক্ষ্মার চিকিৎসা রয়েছে দেশে। সরকার বিনা মূল্যে যক্ষ্মার ওষুধ দিচ্ছে। তার পরও এত মৃত্যুর নেপথ্য কারণ হলো, যক্ষ্মা নিয়ে মানুষের অসচেতনতা এবং রোগী শনাক্ত না হওয়া। বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলার শিক্ষকদের সঙ্গে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানান। ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’ এই স্লোগান সামনে রেখে নাটাবের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাটাবের বাগেরহাট, জেলা সাধারণ সস্পাদক এফএম মোস্তাফিজুল হকের সভাপতিত্বে সভায় যক্ষ্মা রোগ বিষয়ে বক্তব্য দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মো. মেহেদী হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাটাবের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. জিয়াউর রহমান। সভায় প্রধান অতিথি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, শনাক্ত হওয়া রোগীদের চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। এখন যক্ষ্মা রোগে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে দ্রুত যক্ষ্মা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এ রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বক্তারা সচেতনতার জন্য উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, কারও কাঁশি দুই সপ্তাহের অধিক হয়ে গেলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার চিকিৎসা করতে হবে। সরকার এই চিকিৎসা বিনামূল্যে করে থাকে। তাই এই যক্ষ্মা রোগকে অবহেলা না করে চিকিৎসা করতে হবে। সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন স্তরের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ বিষয়ে জনগণকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মতবিনিময় সভাটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন নাটাবের এফএল এস তরুন কুমার বিশ্বাস।