নরসিংদীতে নদীর ঘাটের ইজারা ও নৌকার সিরিয়াল নিয়ে দন্ধের জের ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিপক্ষরা গরু জবাইয়ের ছুরি ও রামদা কুপিয়ে সাজিন নামে একজনকে হত্যা করেছে। এসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরো ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১ নারী সহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের পর পর এলাকায় থম থমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত সাজিন কাউরিয়া পাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। সে আলীজান জে এম একাডেমীর ৮ম শ্রেনীর ছাত্র।পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়ায় নতুন লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার ছিলেন মতিন মিয়া। গত জুন মাসে আলমাস কমিশনার সহ আরো কয়েক জন নতুন ভাবে ইজারা নেয়। ইজারাদারা পরিবর্তন হওয়ার পরও মতিন ও তার সমর্থকরা ঘাটের নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালাতো। এরই ফলে মতিন মিয়ার বোটগুলো বিনা সিরিয়ালে চালাতো। এতে ইজারাদারের লোকজন বাধা দিলে মতিন মিয়ার ছেলে রাব্বি নাজমুল সহ তার সমর্থকরা ইজারাদাদের সমর্থকদের মারপিট করতো। একই সাথে ক্যাশ থেকে টাকা লুট করে নিয়ে আসতো। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মতিন মিয়ার ছেলে রাব্বি সহ কয়েকজন লঞ্চ ঘাটে গিয়ে হট্রগোল করেন। এতে বাধা দিলে বর্তমান ইজারাদার আলমাস কমিশনারের সমর্থকদের মারপিট করেন। পরে লঞ্চ ঘাট থেকে ইজারাদারে পক্ষের ৭/৮ জন মতিনের বাড়িতে নালিস জানাতে আসে। ওই সময় মতিন তার ছেলে সহ ২০/২৫ জন সমর্থক গরু কাটার ছুরি,রাম দা সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। ওই সময় প্রতিপক্ষের এলোপাথারী ছুরির আঘাতে সাজিন সহ ৬ জন গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মতিন সমর্থকরা চলে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সাজিনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে সাজিনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার ঘটসাস্থল পরিদর্শন করেন। সদর থানার এস আই সাইয়াদুর জানিয়েছেন,ঘাটের ইজারা ও বোটের সিরিয়াল নিয়ে দন্ধের জের ধরে এ হত্যাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কারন অনুসন্ধান ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে।