চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
চলতি বোরো মৌসুমে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। ধানের মূল্য কমে যাওয়া এবং ধানে প্রচুর চিঠা হওয়ায় কৃষকরা এখন হাহাকার করছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার হেক্টর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি, অগ্রায়ণে ধানের ভালো মূল্য পাওয়ায় এবং সরকারি ভর্তুকি দেয়াসহ নানা কারণে জমিতে বোরো ধানের ফসল ভালো হয়েছে। এতে ধানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় পায় ৫০ হাজার টন। বোরো ফসল কাটার সময় হওয়ায় এখন চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশে ধান কাটা চলছে। কিন্তু ধান কাটার পর কৃষকরা একর প্রতি ২৫-৩০ মণের বেশি ধান পাচ্ছেন না। কারণ ধানে প্রচুর পরিমাণে চিঠা পাওয়া যাচ্ছে। এক একর ধান কাটলে মাড়াই করে ধানের বিশাল স্তূপ হলে ঝাড়াই করে পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান। এরমধ্যে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে গিয়ে ধানের মূল্য পাচ্ছেন না। প্রতি মণ ধান এখন স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায়। এতে কৃষকরা লোকসানে পড়েছেন। প্রতি একর জমি চাষ করতে কৃষকের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ ওই ধান বিক্রি করে কৃষক পাচ্ছেন মাত্র ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় ধানে চিঠা হয়েছে। ধান বের হওয়ার পর দিনে প্রচণ্ড গরম এবং বেশি বাতাসের কারণে এমনটা হয়েছে। তিনি বলেন, সর্বোপরি উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা বেশ খুশি। তবে ধানের মূল্য কম থাকায় তারা অনেকটা হতাশ।