পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ও সাগরিকা এক্সপ্রেস গাড়ীর চেয়ারম্যান সেলিম কর্তৃক শিশু ভাতাসহ বিভিন্ন প্রকার কার্ড করে দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ অসহায় পরিবারকে মারধর করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের করিয়াটা গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র পরিবারকে শিশুভাতা, মাতৃত্বভাতা, ভিজিডি কার্ড, ফেয়ারপ্রাইজ (১৫ টাকা কেজি) চালের কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা কার্ডের প্রলোভন দেখিয়া হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ৫নং ওয়ার্ড সদস্য সেলিম রেজা। ভুক্তভোগীরা জানান, টাকা দেওয়ার পরে কোন ধরনের ভাতা কার্ড না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে ইউপি সদস্য সেলিম রেজা বিভিন্ন প্রকার তালবাহানাসহ অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩মে বুধবার সকালে ইউপি সদস্যর বাড়ির উঠানে ভুক্তভোগীরা তাদের দেয়া টাকা চাইতে আসলে কথাকাটির একপর্যায়ে ইউপি সদস্য সেলিম রেজা কর্তৃক অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে হামলা চালিয়ে মারডাং করে। এতে মমেনা বেগম নামে এক বিধবা ভুক্তভোগী আহত হন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সেলিম রেজা নিবার্চনে জয় লাভ করার পর থেকে প্রায় ৫/৬টি এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। তার এঘটনায় নিবার্চনী এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, সেলিম মেম্বার অল্প কিছুদিনেই জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন। সে একজন জনপ্রতিনিধি তার উচিত সবার সাথে সুন্দর ও ভালো আচারন করা। তার এমন আচারণে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ। ভুক্তভোগীরা হলেন, মামুনি বেগম, সালমা, লাভলী বেগম, সুমি বেগম, সুমন, সাবনুর, হাসনা বেগম, জান্নাতি বেগম, হালিমা বেগম, মমেনা, ইসনা বেগম। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সেলিম রেজা কোন মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে হোসেনপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে ইউপি সদস্যের এরকম করার ক্ষমতা নেই, কেউ যদি কোন অপরাধ করে তার বিচারের জন্য আইন আদালত আছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কামরুজ্জামান নয়নের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি শুনেছি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যব¯’া গ্রহন করা হবে। তবে ইউপি সদস্য এধরণের আচারন করতে পারেনা। উল্লেখ্য, এই অসহায় পরিবারের উপর নির্মমভাবে নির্যাতন করায় জনমনে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে একটি লেখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ১০টি পরিবার। ভুক্তভোগীরা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগী ও সচেতন মহল।