ড. ইউনুস সম্পর্কে সম্প্রতি বিশ্বের ৪০ নেতা ওয়াশিংটন পোস্টে যে বিবৃতি দিয়েছে তা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না, এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনুস বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি আমি বাংলাদেশে দেখি নাই। বিশ্ব অঙ্গনেও এরকম হয় কিনা জানিনা। এরকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করাকতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক ইউনুস সাহেব নোবেল জয়ী। তার পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো- এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে। আমার প্রশ্ন- তার এত টাকা কোথা থেকে আসে? সময় এসেছে সরকারের রশি ধরে টান দেয়ার-বিএনপির মহাসচিব এর এমন বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা তো রশি ধরে টান দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর। সরকারকে রশি ধরে টান দিতে গিয়ে সেই রশি ছিড়ে পড়ে গিয়ে তাদেরই কোমরটা ভেঙ্গে গেছে। এখন আবার রশি ধরে টান দিতে গেলে তাদের কোমর আরো ভেঙ্গে যাবে। এটা মনে রাখতে হবে সরকারের ভীত কিংবা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভীত অনেক গভীরে প্রোথিত। এই রশি ধরে টানাটানি ১৪ বছর ধরে তারা করেছে। এতে কোন তাদের লাভ হয়নি বরং নিজেরাই বারবার রশি ছিড়ে পড়ে গেছে। আবারো টান দিতে গেলে, আবারো ছিড়ে পড়ে যাবে। বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে আরো একধাপ এগিয়েছে- ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণার সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র চর্চা সূচকে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়েছে। বিএনপির অব্যাহতভাবে চেঁচামেচি- দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই এগুলোর মধ্যেই ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছে-তারমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত আছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা কথা বলে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করে যে বলে- আমাদের কথা বলার অধিকার নাই। সেটি যে অসাড় মিথ্যা- ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে সেটি উঠে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহতভাবে সুসংগত রয়েছে। এটি আরো হত যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করত। তিনি বলেন, বিএনপি’র অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই তো নাই। তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারেনা। বিএনপির নেতা এক কলমের খোচায় হয় আবার এক কলমের খোচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করত। দেশের সার্বিকভাবে গণতন্ত্র চর্চায় আরও সহায়ক ভূমিকা রাখত। তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।