গাজীপুর শ্রীপুর পৌরসভার একটি মৌজায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে চলেছে বাংলাদেশ ডিজিটালা সার্ভে (বিডিএস) জরিপ কাজ। অভিযোগ উঠেছে সেখানে ভূমি জরিপের নামে ঘুষের উৎসবে মেতেছেন মাঠপর্যায়ের সার্ভেয়ারা। কাগজ পত্র গরমিল দেখিয়ে ভূমি মালিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা টাকা দিতে নাই চালে করছেন নানা ধরেন হয়রানি। শ্রীপুর উপজেলায় ৮১টি মৌজার মধ্যে মাত্র একটি ৪৩নং শ্রীপুর মৌজায় ভূমি জরিপের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় গত জুন মাসে। এর মধ্যে জমির শ্রেণীর অবস্থান দখলসহ মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ করে মাঠ পর্চায় কাগজপত্র দেখে মাঠ পর্চা দেওয়ার কাজ শুরু করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সাভের্য়ার মোঃ মফিজ উদ্দিন অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেন করেছে। শ্রীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বাসিন্দা ফজলুল হক মেলেটারী অভিযোগ করে বলেন, আমার কাগজ পত্র সঠিক থাকা স্বত্বেও সার্ভেয়ার মোঃ মফিজ উদ্দিন আমাকে বলেন আপনার কাগজ পত্র সঠিকনাই। কিন্তু এক লক্ষ টাকা প্রদান করিলে আমাকে মাঠ পর্চা প্রদান করিবে। পরে আমি তাহার হাতে পায়ে দরে আকুতি মিনতি করে তাকে ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করা পর আমাকে মাঠ পর্চা প্রদান করেন। স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আক্কাছ আলী পুত্র আবদুল মান্নান বলেন, আমার সরে জমিনে বাড়ী ঘর রহিয়াছে কাগজ পত্র সঠিক রহিয়াছে কিন্তু সার্ভেয়ার মোঃ মফিজ উদ্দিন আমার নিকট মোটা অংকের টাকা না দেওয়া কারনে আমাকে ভূমি জরিপের মাঠ পর্চা প্রদান করেন নাই। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস ছালাম ও আব্দুস ছামাদ বলেন আমাদের দুই ভাইয়ের নিকট বিশ হাজার টাকা না দিলে সার্ভেয়ার মফিজুল ইসলাম আমাদের জমির বিডিএস রেকর্ড মাঠ পর্চা দিবেন না। অনিয়ম ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে সার্ভেয়ার মোঃ মফিজ উদ্দিন এর অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলার জন্য গেলে তিনি এই বিষয়ের কোন কথা বলেতে রাজি হনি। সেটেলমেন্ট অফিসার আবদুল মালেক সাথে যোগাযোগ করে সার্ভেয়ার মোঃ মফিজ উদ্দিন এর ঘুষ লেন-দেন এর কথা বলার সাথে সাথে তিনি বলেন, আমি আজ শ্রীপুর নাই আগামীকাল এসে আপনার সাথে কথা বলবো। এ বিষয়ে জানতে ভূমি জরিপের সহকারী সেনেলমেন্ট কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র সরকারকে একাধিক বার ফোন দেওয়ার পরও তিনি রিসিভ করেনি। এই বিষয়ে ঢাকা বিভাগের সেটেলমেন্ট অফিসার উপ-সচিব মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং এই বিষয়টি আমি দেখবো।