শতাব্দির শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত এলাকা। এরই মধ্যে ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে দেড় হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ছয় হাজারের বেশি। তবে বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই প্রায় এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস)।
ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে ইরানভিত্তিক বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়া কাঁপিয়ে দেয়া ভূমিকম্পে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ১২ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কাহরামানমারাস শহরের কাছে আঘাত হানে। শহরটি গাজিয়ান্তেপের উত্তরে প্রায় ৮০ মাইল দূরে অবস্থিত। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। অঞ্চলটি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী।