প্রথম দফা ইজতেমা শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে। এ কারণে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় সকাল থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবে ফার্মগেট, শাহাবাগ, মিরপুর কালশী, বনানী এলাকাসহ বেশ কিছু জায়গায় দেখা গেছে দীর্ঘ যানজট।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল থেকে তীব্র এই যানজটের কারণে ওইসব এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারীরা পড়েছেন বিপাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় তাদের রাস্তায় পার করতে হচ্ছে। মূলত বুধবার দিবাগত রাত থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়।
টঙ্গীর ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসল্লিরা এরই মধ্যে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হতে শুরু করেছেন। কেউ বাসে করে, কেউবা বিভিন্ন ছোট-বড় যানবাহনে করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছেন। কিন্তু তাদের বহনকারী পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়। যার প্রভাব পড়ে রাজধানীজুড়ে।
যারা উত্তরার দিকে যাচ্ছেন, তাদের বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দুই কিলোমিটার জায়গা অতিক্রম করতে এক একজনের সময় লেগেছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে টঙ্গীতে মুসল্লিদের বহনকারী যানবাহনগুলো রাস্তার পাশে পার্কিং করার কারণে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। আর সে কারণেই উত্তরা সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। তার প্রভাব দিয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে উত্তরা আগামী যানবাহন এবং যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। যানজটের কারণে দীর্ঘ অপেক্ষায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষের।
মোহাম্মদপুর থেকে উত্তরাগামী প্রজাপতি পরিবহনের চালক নজরুল বলেন, ‘আজ উত্তরা থেকে যখন আসি, তখন দীর্ঘ যানজটে পড়ে থাকতে হয়। রাস্তার পাশে অনেক গাড়ি পার্ক করা ছিল। যারা ইজতেমায় এসেছে, তাদের গাড়ি রাস্তায় পার্ক করার কারণে যাতায়াতের রাস্তা ছোট হয়ে যায়। সে কারণেই যানজটের সৃষ্টি হয়।’
উত্তরা থেকে মতিঝিলগামী তৌহিদ বলেন, ‘আজ অনেকটাই জ্যামে থাকতে হয়েছে। কখন মতিঝিল পৌঁছাবো বলতে পারছি না। উত্তরায় অপেক্ষার পর একটি বাস পেয়েছি। শাহবাগ অতিক্রম করতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল। জানি না কপালে কী আছে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি, উত্তরা বিভাগ) অতিরিক্ত উপকমিশনার তাপস কুমার বলেন, ‘ইজতেমার মুসল্লিদের নিয়ে আসা গাড়িগুলো রাস্তায় অনবরত পার্কিং করার কারণে গতকাল রাত থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়। রাতে গাড়িগুলো সরানোর জন্য কাজ শুরু করে পুলিশ সদস্যরা। গাড়ির চাপ বেশি থাকায় গাড়ির সারি দীর্ঘ হয়ে রাজধানীর ভেতরেও সৃষ্টি হয় যানজটের।’