আকর্ষণীয় বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধার কারণে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশিদের মধ্যে। করোনার কারণে মাঝে কিছুদিন দেশটিকে যাওয়া বন্ধ থাকলেও সবশেষ বছরে বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক শ্রমিক গেছে দেশটিতে।
২০১৮ সাল থেকে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ২২ হাজার শ্রমিক উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গেছেন। সেখানে সবশেষ বছরে গেছেন ৫ হাজার ৮৯১ জন।
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোরিয়ার যাওয়ার সুযোগ পাওয়া এসব কর্মীরা ‘নিম্ন ও মাঝারি’ দক্ষ। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালেও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। বছরের শুরুতে প্রথম ব্যাচের কর্মীরা সোমবার (২ জানুয়ারি) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোরিয়ান এয়ার কোম্পানির চার্টার্ড ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
ঢাকায় অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রথম ব্যাচে ৯২ জন বাংলাদেশি শ্রমিক সোমবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন। তাদের মধ্যে ৬৯ জন নতুন এবং ২৩ জন পুনরায় ভর্তি হওয়া কর্মী।
করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশি ইপিএস কর্মীদের ভর্তি প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল। পরে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইএসপি কর্মীদের পুনরায় নেওয়া শুরু করে।
২০০৮-২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৬৯৭ বাংলাদেশি কর্মী ইপিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন। আশা করা হচ্ছে, এ বছর প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০-১২০ জন প্রবাসী কর্মীকে কোরিয়ায় নেওয়া হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া অধিক পছন্দের গন্তব্য। কারণ তারা কোরিয়ার আইনত ন্যূনতম মজুরি লাভ করতে পারেন।
কোরিয়ায় যাওয়া শ্রমিকরা দেশটিতে অনেক আকর্ষণীয় বেতন ভাতা পান। অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও ভালো। যদিও যাওয়ার সুযোগ পাওয়াটা অনেকটা ভাগ্যের বিষয়। লাগে ভাষাগত দক্ষতাও।