মাদারীপুরের মস্তফাপুর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ও রাজৈর সদর ইউনিয়ন চৌরী বাড়ি এলাকার রাজৈর কোটালীপাড়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ময়লার ভাগাড় । ফেলে রাখা এই ময়লা পোড়ানো হয় প্রতিনিয়ত, পোড়ানো ময়লার ধোঁয়ার সঙ্গে পচা গন্ধের ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও আশপাশের এলাকা । দূষণের শিকার হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দাসহ রাস্তায় চলাচলকারীরা। নাক-মুখ চেপে চলাফেরা করতে হচ্ছে সবাইকে। পৌর কর্তৃপক্ষের দূষণের এই অত্যাচার থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী। প্রতিদিন পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় এখানে। এমনকি বর্জ্য ফেলার জন্য পরিবেশবান্ধব কোনো পদ্ধতিও অনুসরণ করা হচ্ছে না। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে। মাদারীপুর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। এ কারণে প্রথমে পৌর এলাকার শেখ হাসিনা মহাসড়কের পাশে খাগদী এলাকায় ফেলা হতো এই ময়লা। খাগদী স্থানটি শহরের প্রবেশমুখে অবস্থিত। দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের চাপে পৌর কর্তৃপক্ষ ওই জায়গা থেকে ময়লা ফেলার ভাগাড় সরিয়ে নেয়। পরে পুরোনো ফেরিঘাট এলাকার খোয়াজপুরে ময়লা ফেলার জন্য দুই বছরের জন্য ২ লাখ টাকায় চুক্তি করে পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুই মাস ময়লা ফেলার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতে থাকে। চাপের মুখে আবারও জায়গা পরিবর্তন করে তারা। পরে মস্তফাপুরের বড় মেহের এলাকায় পৌর মেয়রের নিজস্ব জায়গায় ময়লা ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এলাকাবাসী জানান, পৌরসভার ফেলা ময়লা প্রতিদিন পোড়ানো হয়। এতে পোড়ানো ধোঁয়া ও ভাগাড়ের গন্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। ধোঁয়া ও পচা গন্ধে স্থানীয়দের অনেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা লাভলু মাতুব্বর বলেন, আমরা চাই এখানে যাতে ময়লা না ফালায়, তাতে আমরা এলাকার লোক ভালো থাকি, বাচ্চাদের নিয়া হাটতে পারিনা তাদের শ^াসকষ্ট হয়, বৃদ্ধ এবং বাচ্চাদের বেশী কষ্ট হয়। অনেক মহিলারা এখান দিয়ে যাওয়ার সময় বমি করে দেয়। এ বিষয়ে মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, জমিটা আমি নিজে কিনে ওখানে ময়লা ফেলছি,নতুন কোনো জায়গা পাচ্ছিনা বলেই এখনো ওখানে ময়লা ফেলতে হচ্ছে তবে দ্রুতই নতুন জমি পেলে ময়লা ফেলা বন্ধ করে দেয়া হবে, তবে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে। এদিকে রাজৈর পৌর মেয়র নাজমা রশীদকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।