ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ইরানের শহরগুলো পুরোপুরি শান্ত ও নিরাপদ ছিল। তাই লিবিয়া-সিরিয়ার মতো একই পরিকল্পনায় ইরানকে অস্থিতিশীল করতে চাইছিল যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শত্রুরা। তবে ব্যর্থ হয়েছে শত্রুরা।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভের ৫০ দিনে প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য প্রকাশ করে ইরানের গণমাধ্যমগুলো।
ইব্রাহিম রাইসি বলেন, মাহসা আমিনির মৃত্যুর সুযোগ নিয়ে আরব বসন্তের মতো আরেকটি অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের তৎপরতার কাছে হার মেনেছে তারা।
হিজাব আইন ভঙ্গ করায় ১৬ সেপ্টেম্বর আটক করা হয় কুর্দিশ নারী মাহসা আমিনিকে (২২)। সেদিনই পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় ইরানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে ইরানের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, আন্দোলন থেকে সরে যেতে তাদের ওপরে রাইসি প্রশাসন যে হামলা চালিয়েছে, তাতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর এ প্রথম দেশটিতে একসঙ্গে এত বেশি মানুষ মারা যান।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ছিল তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দখল দিবস। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে বলেন, আমরা ইরানকে মুক্ত করতে যাচ্ছি। তারা খুব শিগগির নিজেদের মুক্ত করতে চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়- বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ও নারীরা বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমনকি, কঠোর পোষাক আইন অমান্য করে বোরখা ও হিজাব ছুঁড়ে ফেলে পুড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।